স্কুলের অডিটোরিয়ামে অনেক গার্জিয়ান আজ। তাদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা। অন্য দিকে ক্লাস অনুযায়ী স্টুডেন্টদের  বসার জায়গা। যারা অনুষ্ঠানে আছে, বা পুরস্কৃত হবে তারা স্টেজের একদম কাছে। অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সের জন্য পুরস্কার পেয়েছে সুকন্যা। পড়াশোনায় যেমন তুখোড় তেমনই গানের গলা। সুকন্যার গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত শুনে সকলেই মুগ্ধ হয়ে গেছে। দারুণ প্রোগ্রাম হয়েছে। সকলে খুব খুশি। বাচ্চাদের এক এক করে নিয়ে এবার বাড়ি ফিরবে। স্কুলের সামনের দুটো বড়ো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। গেট থেকে বেরিয়ে সামনের জনকে দেখে অবাক হয়ে যায় প্রিয়া। এত বছর পর নির্মল স্যারকে দেখতে পাবে, এ যে অবাক কান্ড! মাঝে কেটে গেছে একযুগ অর্থাৎ বারো বছর।

এই শহরে এসেছে বছর আড়াই। দাদা বউদির স্মৃতি থেকে মা বেরোতে পারছিল না। দিন দিন কেমন যেন হয়ে যাচ্ছিল। এছাড়াও প্রিয়ার বয়স বাড়ছে কিন্তু বিয়ে করতে চাইছে না, সুকন্যা আর ওনার জন্য— এটা মেনে নিতে পারছেন না প্রিয়ার মা। উনি শুধু ভাবেন মেয়ের কি বিয়ে হবে না? সেই চিন্তা কালো মেঘের মতো ঢেকে দেয় মনটাকে৷

সুকন্যা ভালো স্কুলে ভর্তির জন্যে চলে এসেছে এই শহরে। প্রিয়ার অফিসও কাছাকাছি হয়েছে। নিজেদের দোতলা বাড়ি বিক্রি করে এখানে একটা একতলা বাড়ি কিনেছে। বেশ দেখতে। বাড়ির সামনের জায়গায় বাগান, বাড়িটার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে।

বাড়ি বিক্রি করে এখানে আসতে প্রথম দিকে রাজি হননি প্রিয়ার মা। শ্বশুরমশাইয়ের ভিটে, কত স্মৃতি! কিন্তু প্রিয়ার এক জেদ, আমারও তো বয়স বাড়ছে রোজ রোজ অফিস যাওয়া। বাড়িটা ভালো পেয়েছি এখন না কিনলে পরে পস্তাতে হবে। তবে এই বাড়িটা থাক, ভাড়া দিয়ে দেব। আমি লোন পেয়ে যাব। কিনে নেব। তখন শেষমেশ রাজি হয়েছিলেন। লোন করতে দেননি।

বাড়িটার পাশে একটা পার্ক আছে ওখানেই স্কুলের বান্ধবীকে খুঁজে পেয়েছেন প্রিয়ার মা একদিন। বিকেলে বেড়াতে আসেন। এখন দুই বান্ধবীর একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত শুরু হয়েছে। বেশ ভালো আছেন প্রিয়ার মা। এরকম অ্যানুয়াল ফাংশনে প্রিয়া প্রথমবার এল। গতবারেই অ্যাডমিশন টেস্ট দিয়ে ক্লাস ফাইভে ভর্তি হয়েছে সুকন্যা।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...