বাসস্ট্যান্ড থেকে কপিলমুনির মন্দির যাওয়ার রাস্তার মোড়টাতে গাছতলায় বসে ভিখারি বুড়ি পাশ দিয়ে যাওয়া মানুষজন দেখলেই বিড়বিড়িয়ে বলে ওঠে- পাপীবেটা খাওয়ার জন্য কিছু টাকা দে, মন্দিরে গিয়ে পাপ ধুয়ে সব পুণ্য নে। সকাল হতেই প্রতিদিন সে এখানে এসে বসে থাকে শেষ বিকেল পর্যন্ত।

সত্তরের কাছাকাছি বয়সের সম্ভ্রান্ত চেহারার মানুষটাকে দেখে ঠিক ভিখারি মনে হয় না। বছর দশেক ধরে বুড়িকে এখানে বসে ভিক্ষা করতে দেখছে সবাই। পুরোনো পলিথিন বিছিয়ে তার উপর রংচটা একটা গামছা পেতে, সামনে একটা স্টিলের কানা উঁচু থালা রেখে, গাছের গুঁড়িতে হেলান দিয়ে বসে থাকে সে। সঙ্গে আছে চেন লাগানো নাইলন কাপড়ের মাঝারি সাইজের একটা ব্যাগ, হাতলওয়ালা শক্ত একটা লাঠি আর লম্বা ডান্ডাওয়ালা বড়ো একটা ছাতা।

শক্ত লাঠিটাতে ভর দিয়ে শরীরটাকে সোজা রেখে সে চলাফেরা করে, দিন শেষে বাড়ি ফেরার সময় বড়ো ছাতাটাকে সামনের চা-দোকানে রেখে যায়। বুড়ির ভিক্ষা চাওয়ার অদ্ভুত ধরন দেখে বেশিরভাগ অপরিচিত লোকই তাকে পাগল ভাবে। যার কাছে ভিক্ষা চাইছে তাকেই কিনা পাপী বলে গাল দিচ্ছে, এ কেমন বেয়াড়াপনা বাবা! তবুও অশীতিপর বৃদ্ধার উপর দয়াপরবশ হয়ে এক-দু’টাকা বা কিছু খাবারদাবার দিয়ে যায় অনেকেই।

সৌমেন চায়ের দোকানে বসে বুড়ির কথা বলতেই, দোকানদার বলে ওঠে, ভুল ভাবছেন বাবু। বুড়ি মোটেই পাগলি নয়, দারুণ দারুণ জ্ঞানের কথা বলে। বড়ো ঘরের মানুষ। উত্তর প্রদেশে কোন একটা গ্রামে, কী যেন নামটা মনে থাকে না ছাই, সেখানে অনেক জমিজমা আছে। কী জানি কোন অভিমানে ঘর ছেড়ে এখানে বসে এই কষ্টের মধ্যে দিন গুজরান করছে।

চা শেষ করে কাপটা রেখে উঠে দাঁড়ায় সৌমেন, তাহলে তো একবার আলাপ করতেই হয় বুড়িমার সঙ্গে। মেলার রিপোর্টিং করতে এসে একটা ভালো স্টোরিও করা হয়ে যাবে। এগিয়ে যেতে গিয়ে থেমে দাঁড়ায় সৌমেন। ও হ্যাঁ, ওই বিস্কুটটা দাও তো এক প্যাকেট আর একটা সেও ভাজার প্যাকেটও দাও। কত হল?

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...