ট্রেনের বাতানুকূল কোচ-এ অনেকক্ষণ বসে থাকলে আজও খুব দমবন্ধ লাগে তানিয়ার। একা সফর করলে মালপত্র রেখে বারবার ওঠা যায় না। কিন্তু উলটো দিকের সিটে বসা মাসিমার সঙ্গে বেশ আলাপ হয়ে গেছে। ওনাকে মালপত্র নজরে রাখার অনুরোধ করে, তানিয়া দরজা ঠেলে বাথরুমের প্যাসেজে এসে দাঁড়াল। দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে পূর্বা এক্সপ্রেস। একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি এসেছিল তানিয়া। কলকাতা ফিরছে একাই।

একা শব্দটার তাৎপর্য সে এই দুবছরে খুব ভালো ভাবেই টের পেয়েছে। ট্রেনের অভিমুখের উলটো দিকে যে-ভাবে ছুটে চলেছে বাড়ি-ঘর গাছপালা, তার সমগ্র জীবন! সবই কেমন যেন অন্যরকম হয়ে গেল তানিয়ার ক্ষেত্রে। ট্রেনের দু-পাশের গেট দিয়ে ঠান্ডা হাওয়ার ঝাপটায় ভেতরটা খুব ফ্রেশ লাগে তানিয়ার। ছোটোবেলা থেকে তার খুব ভালো লাগে রেল সফর।

বাথরুমের বাইরের বেসিনের আয়নায় সে নিজের মুখটা দেখতে দেখতে, যত ক্লান্তি হাত দিয়ে মুছে নিতে চায়। কিন্তু আয়নায় তাকাতেই একটা চেনা মুখের প্রতিবিম্ব ভেসে ওঠে। চমকে ওঠে তানিয়া! ঠিক তার পেছনেই দাঁড়িয়ে বিনায়ক। সিগারেট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

দুবছরে বেশ পরিবর্তন এসে গেছে বিনায়কের চেহারায়। বয়সের তুলনায় যেন বেশি বয়স্ক লাগছে তাকে দেখতে। বিনায়কও একইরকম চমকে গেছে হয়তো তানিয়াকে দেখে। কোনও কথা বলে উঠতে পারে না সে-ও। হতভন্ব ভাবটা কাটতেই, তানিয়া শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখটা মুছে আলতো করে পাশ কাটিয়ে নিজের সিটে এসে বসে। পেছন ফিরে না তাকালেও সে বুঝতে পারে, সম্মোহিতের মতো বিনায়ক তাকে অনুসরণ করেছে তার সিট অবধি। তানিয়া সিটে বসে অনুভব করে তার উপস্থিতি। বিনায়ক দু-এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে থাকে তার বসার জায়গাটির অদূরে, তারপর মিশে যায় কামরার অন্য কোনও খানে।

ঘটনার আকস্মিকতা তানিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েছে। একটা চা-ওয়ালা আসছে,তানিয়া দু-কাপ চা নিয়ে একটা এগিয়ে দেয় সহযাত্রী মাসিমার দিকে। তারপর নিজেও চায়ের কাপ হাতে সঙ্গে থাকা একটা ম্যাগাজিনে চোখ রাখে তানিয়া। ইঙ্গিতটা খুব স্পষ্ট যে, কিছুক্ষণ সে নিজের মধ্যেই নিমজ্জিত থাকতে চায়।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...