( ৭ )

খুব গরম পড়েছে। ছাতা নিয়ে স্কুলে যাই। বিকেলটা অনেক বড়ো হয়ে গেছে। দিন যেন শেষ হতেই চায় না। সন্ধেবেলায় সারা বাগানে গন্ধরাজ রজনীগন্ধার সুবাস খেলে বেড়ায়। মা আমাকে নিয়ে সন্ধ্যায় পড়াতে বসে। ঠাম্মা বারান্দায় চাঁদের আলোয় বসে হাতপাখা নাড়ে।

খাওয়া শেষ করে শুতে শুতে এগারোটা বাজে। একটা সেকেলে বিশাল ফ্যান গমগম করে ঘোরে। মায়ের ফের গলা জড়িয়ে ধরে বলি, মা সেজমামার গল্প বলো।

মা বলে, সরস্বতী পুজো হবে না সেবার ঠিক হয়েছিল। সেজদা প্রায় দশ-বারো দিন বাড়ি নেই। মা খুব কাঁদে। খায় না প্রায় কিছুই। বাবা মারা গেছে আজ প্রায় আট বছর আগে। তখন থেকেই মায়ের খাওয়া কমে গেছে। শরীর ভেঙে গেছে। সেজদা চলে যাওয়ার পর মায়ের কথা বলাও অনেক কমে গেছে। সকালে কুটনো কুটে দেয়। বড়দি রান্না করে। এই ডামাডোলের সময় বাড়ির কেউই বড়দিকে বর্ধমানে ইউনিভার্সিটিতে পাঠাতে রাজি নয়। মেজদা বউদি পানাগড়ে থাকে। ওখানে মেজদা চাকরি করে। বড়দা বিয়ে করেনি। করবেও না। সকালে বড়দি রান্না করে দেয়। বড়দা খেয়ে অফিসে চলে যায়। প্রায়ই বড়দির বিয়ে সম্বন্ধ নিয়ে আসে। বড়দিকে খুব সুন্দর দেখতে। অথচ বিয়ে হয় না। মা আবার ভেঙে পড়ে। বড়দি তখন তেইশ।

আমাদের সকলেরই মন খুব খারাপ। সেজদার কোনও খবর নেই। মা খালি বলে, কোথায় আছে, কী খায়, কী পরে জানি না। মা কাঁদে। আঁচলে চোখ মোছে। তিন বোন মাকে ঘিরে বসে থাকি। ছোড়দা চাকরির জন্য এদিক ওদিক ছুটে বেড়ায়। টিউশনি করতে যায়। এমন সময় একদিন সন্ধ্যায় বড়দা বাড়ি ফিরে বলল……

মা থেমে গেল।

মায়ের গলা জড়িয়ে ধরি। বলি তারপর?

মা একটু দম নিয়ে বলল, বড়দা জানাল অফিসে মেজদা ফোন করেছিল। পাটনায় আছে। সঙ্গে সঞ্জীবদা। সরস্বতী পুজোর দিন আসবে। বাড়ির লোক ছাড়া যেন আর কেউ না জানে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...