র‌্যাপিড রিডারে বিপ্লবীদের গল্প পড়াতে পড়াতে বারবারই মা অন্যরকম হয়ে ওঠে। বিপ্লব শব্দটাই মায়ের কাছে যেন বিরাট। মায়ের কন্ঠস্বর তখন কেমন কঠিন হয়ে যায়। উচ্চারণগুলো কত কাটাকাটা। কী স্পষ্ট!

আমি বলি, কী হয়েছে মা?

মা বলে, তুমি এখন ছোটো। বড়ো হও সব বুঝবে। দেশ কী! বিপ্লব কী! শহিদ কী! স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়। আমার মধ্যে কী এক উন্মাদনা জাগে। উদ্বুদ্ধ হয়ে চিত্কার করে পড়ি বুড়িবালামের তীরে ইংরেজদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ...

মায়ের কথার অর্থ কিছু বুঝতে পারি না। ক্ষুদিরাম, বাঘাযতীন নেতাজির কাহিনি পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। মা তখন রান্নাঘরে ভাত দেখতে যায়। ঠাম্মা টিভি দেখে। তখন আমার শুধু মনে হয় সেজমামা ছিল নকশাল। খুন হয়েছে। নকশাল কী জিনিস বোঝার ক্ষমতা আমার তৈরি হয়নি। আর জানি সেজমামা একদিন ফিরে আসবে। সেই মামাকে আমি কখনও দেখিনি। বাড়িতে কোনও ছবিও নেই। তবুও বাবার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে বলি সেজমামা যেন ফিরে আসে বাবা। এখন আমরা তিনজনে একসঙ্গে বসে খাই। আগে বাবার মর্নিং ডিউটি কিংবা ছুটির দিনে দুজনে একসঙ্গে খেতাম। এখন রাত্রি দশটা বাজলেই সবাই খেতে বসে পড়ি। মা গরম গরম ভাত দেয়। মাকে ঠাম্মা সাদা শাড়ি পরতে দেয় না। মা রঙিন শাড়ি পরে। কপালে টিপও। আগে মাকে দেখলে কেমন ভয় ভয় করত। এখন মাকে কী সুন্দর লাগে! মা হাসে। মা হাসলে আলো ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। প্রজাপতি উড়ে যায়। ঠাম্মার মুখের গম্ভীর গম্ভীর ভাবটাও আর নেই।

এক দিন খাওয়ার টেবিলে বসে বললাম মা, সেজমামাকে কেমন দেখতে ছিল? বড়োমামার মতো? মেজমামা নাকি ছোটোমামার মতো?

ঠাম্মা ধমকে উঠল খা তো এখন।

আমার মধ্যে সন্ধেবেলায় পড়া বিপ্লবী বাঘাযতীন থাবা বসিয়েছে। ঠাম্মার ধমকেও থামলাম না। বললাম সেজমামা কি বাঘাযতীনের মতো বিপ্লবী ছিল?

মা গম্ভীর হয়ে আমার মাছ বাছতে বাছতে বলল না।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...