সাই আর্কেড। মাথা তুলে অ্যাপার্টমেন্ট-এর নামটা আগে পড়ল পানসি। রট আয়রনে পেঁচিয়ে লেখা ইংলিশ হরফ। মানেটা প্রথমে বুঝতে অসুবিধা হলেও পরে মনে পড়েছিল, গুরুস্মরণাত্মক সাই এদেশে যে-কোনও বিনির্ম্মানের শীর্ষবন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর্কেড-এও সেটা হয়েছে।

আড়াইঘণ্টার এয়ার-জার্নির পর এই ভিন প্রভিন্সের অনেক কিছুই ওর অদ্ভুত লেগেছিল। প্রথমত বে অফ বেঙ্গল-এর উপর দিয়ে উড়ে আসাটি তো ভোলার নয়। শঙ্খচিলের মতো ক্ষণকাল ভাইজাগে ডানা থামিয়েছিল এয়ার ডেকান। ফের যখন উড়ল, ক্রমশ ঝাপসা হয়ে হারিয়ে গেল সমতল।

অরিন্দম এয়ারপোর্টে ছিল। নতুন এয়ারপোর্ট-টা তখনও চালু হয়নি। লাগেজ আর পানসিকে ট্যাক্সিতে তুলে ফিরতে ফিরতে দুপুর। ভাড়া মিটিয়ে কাঁধে পিঠে ব্যাগ বোঝাই হয়ে উপরে উঠছে অরিন্দম, পানসি বলল, লিফ্ট নেই?

অরিন্দম আগেই জানিয়েছিল শহরতলির সদ্য তৈরি এইসব বাড়ির অনেক কিছুই ইনকমপ্লিট এখনও। মঞ্জিরা ওয়াটারের লাইন নিয়ে তো সবে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে...।

তার মানে তো খাবার জল! পানসি চমকেছিল– তাহলে? অরিন্দম বলেছিল, সপ্তাহে দু’দিন মিউনিসিপ্যালিটির জলের গাড়ি আসে পাড়ায়। রাস্তায় নেমে কাড়াকাড়ি করে সেই জল তুলতে অসুবিধা যাদের, দোকানের মিনারেল-ডিব্বা তো রইলই...। অরিন্দম কোনও উত্তর দিল না এখন। তার পিছু পিছু উপরে উঠছে পানসি। সেই তিনতলার ব্লকে। লালিত এক আনুগত্য কাজ করছিল ভিতরে ভিতরে। জানা নেই, কেমন হবে আগামী। তবে সহযাত্রার তাগিদটা এ মুহুর্তে মিথ্যা নয়।

বারোশো স্কোয়্যার ফিটের এই ফ্ল্যাট। সামনে সাউথফেসিং ব্যালকনি। দাঁড়ালে গা শির শির করে ওঠে। মনে হয় শূন্যে ভাসমান একখণ্ড পা-দানি, দমকা বাতাস বুঝি হড়কে দেবে। লম্বা করিডরের পিছনেও একটা বারান্দা আছে। সেখানে দাঁড়ালে ছত্রখান ভাঙ্গা পাহাড় নজরে আসে। রাত্রির আবছায়ায় সেই খুবলানো পাহাড়গুলো ভূতের মতো দেখায়। ঝোপঝাড় আর জলাভূমির পাশ দিয়ে চলে গেছে রেলের লাইন। মাঝে মাঝে বিস্তৃত সমতল জুড়ে কবরের ফলক। বাজনা বাজিয়ে পরিজনের কাঁধে মৃতদেহ যায়। শব্দটা পানসির পরিচিত হয়ে গেছে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...