কলেজ থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়েই সোজা বিছানা নিয়েছে কেয়া। আর পেরে উঠছে না। কয়েকদিন যাবৎ একটু বাড়তি খাটনি হয়ে যাচ্ছে তার। ছাত্র-ছাত্রীদের আবদার মেটাতে প্রায় রোজই কলেজের পরে তাদের ঘন্টা-দুয়েক করে এক্সট্রা টাইম দিতে হচ্ছে। সামনেই এক্সাম, তাই না করতে পারেনি কেয়া। বাচ্চাগুলোকে বড্ড ভালোবাসে সে। আর তারাও কেয়াদি বলতে অজ্ঞান। আসলে কেয়ার ব্যবহারটাই এত মিষ্টি। কলিগদের পছন্দের তালিকায় তার নামটা সবার আগে। সাইকোলজির ডিপার্টমেন্টে বেশ ফেমাস।

আজও বাড়ি ফিরতে প্রায় সাতটা হয়ে গেছে। ফেরার পথে খানিক সবজি নিয়ে ফিরেছে। সেগুলো টেবিলের উপরেই রাখা রয়েছে। ফ্রিজে তোলা হয়নি, শুয়ে শুয়ে এসবই সাতপাঁচ ভাবছিল কেয়া। এমন সময় কৌশানীর হাসির শব্দ কানে এল। সঙ্গে খুব চেনা একটা স্বর। বুঝতে একমিনিটও সময় লাগেনি কেয়ার। নিশ্চয়ই সুশোভন। মনে মনে বিরক্তই হয় কেয়া। আজকাল এ বাড়িতে তার যাতায়াত বড্ড বেড়ে গিয়েছে। সময় নেই, অসময় নেই যখন তখন চলে আসে। তাড়াতাড়ি উঠে হাউসকোট-টা চড়িয়ে নেয়। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতেই মেয়ে কৌশানীকে প্রশ্ন করে ‘কে রে কৌশী?’

‘শুভ অঙ্কল মা।’ হঠাৎই মেয়ের ‘সুশোভন আঙ্কল’-এর পরিবর্তে ‘শুভ আঙ্কল’ সম্বোধন মনটাকে যেন আরও সংকুচিত করে দেয় কেয়ার। ক’দিন যাবৎ কেয়া নোটিস করছে, কৌশী-র প্রতি একটু বাড়তি-ই স্নেহ দেখাচ্ছে সে। সুশোভন আঙ্কল থেকে শুভ আঙ্কলের অন্তরালে আরও কত কী রহস্য আছে কে জানে। ভেবেই শিউরে ওঠে কেয়া। মনে মনে ভাবতে থাকে অনেক আদর যত্ন আর শিক্ষার সঙ্গে মানুষ করেছে কৌশী আর কুশলকে। সেই কারণেই তো লোকে এত প্রশংসা করে বাচ্চাদের। কিন্তু যতই লালন-পালন ভালো হোক না কেন, বয়স– বয়স মানুষকে ভুল পথে চলতে বাধ্য করে। বিশেষত কৌশী-র বয়সি মেয়েদের। সবে স্কুলের গন্ডি পেরিয়েছে। তার আর কত বোধ তৈরি হবে। মেয়ের মা হওয়াটা যে কতবড়ো দায়িত্বের। না কিছুতেই মেয়েকে বিপথে চালিত হতে দেওয়া যাবে না। ধৈর্য আর বুদ্ধি দিয়ে বিষয়টা ট্যাকল করতে হবে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...