জ্ঞান ফিরতেই যন্ত্রণাটা আবার অনুভব করল কৌস্তভ। অসহ্য জ্বালা শরীরের উপর অংশে। শত চেষ্টা করেও কাতরানোর আওয়াজটা মুখ বন্ধ করে চেপে রাখতে পারছে না কৌস্তভ। বাঁ চোখটাতে কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। ডান চোখটাও আবছা। তবুও যতটা ঠাহর করতে পারছে তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে সে হসপিটালের বিছানায় শুয়ে।

কী ভেবেছিল কৌস্তভ আর ভাগ্য ওকে কোথায় নিয়ে এল! এটা তো ভাগ্যের পরিহাসই। কৌস্তভের পরিবার যথেষ্ট বিত্তশালী। একমাত্র ছেলে, সুন্দর চেহারা আর তেমনি নম্র, ভদ্র স্বভাবের কৌস্তভ। ছেলেটাকে দেখলে না ভালোবেসে থাকা যায় না। কেমিস্ট্রিতে গোল্ড মেডেলিস্ট। ডক্টরেট করার সঙ্গে সঙ্গে আইএএস পরীক্ষার জন্যেও নিজেকে তৈরি করছিল কৌস্তভ। অনেক স্বপ্ন দেখত ও।

অন্য দিনের মতো সেদিনও দশটার আগেই ল্যাবে পেৌঁছে গিয়েছিল কৌস্তভ। রিসার্চের পুরো ব্যাপারটা গৌতম স্যারের তত্ত্বাবধানে ছিল। কৌস্তভকে দেখেই গৌতম স্যার বলে ওঠেন, ‘কী ব্যাপার, কৌস্তভ? আজ যেন তোমাকে একটু অন্যরকম দেখছি।’

‘হ্যাঁ স্যার। আজ একটু তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাব। তাই ভাবছি আগে প্র্যাকটিক্যালটা সেরে ফেলি।’

‘ঠিক আছে। আমি ক্লাস নিতে যাচ্ছি। মনে হয় না আজ আমাকে তোমার দরকার পড়বে। তুমি নিজের কাজ আরম্ভ করে দাও। কিন্তু কোথায় যাবে সেটা তো বললে না।’

গৌতম স্যার কৌস্তভের থেকে বয়সে খুব বেশি বড়ো নন। সব স্টুডেন্টদের সঙ্গেই উনি বন্ধুর মতোই মেশা পছন্দ করেন। সোহিনির সঙ্গে কৌস্তভের কী সম্পর্ক সেটা ভালো মতোই জানেন উনি। তবুও স্টুডেন্টের সঙ্গে একটু মজা করার ইচ্ছেটা দমন করতে পারলেন না।

কৌস্তভের মুখের হাসিটাই স্যারের প্রশ্নের জবাবটা স্পষ্ট করে দিল। স্যার ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে কৌস্তভ সোহিনিকে ফোন করল, ‘হ্যালো সোহিনি?’

‘কী বলছ।’

‘আজ তিনটে নাগাদ একটু তৈরি থেকো। তোমাকে বাড়ি থেকে তুলে নেব। তারপর কোথাও একটু বসব। একটা জরুরি কথা বলার আছে।’

‘কী কথা? যেটা আমি কয়েক মাস ধরে তোমার মুখ থেকে শুনতে চাইছি?’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...