লাল ধুলো উড়িয়ে বাসটা চলে গেল। নামেই পিচ রাস্তা। কোথাও এতটুকু পিচের চিহ্নমাত্র নেই। গাছের পাতা ঘাস সব লাল ধুলোয় ঢাকা পড়েছে। কেউ বলে না দিলে বোঝার কোনও উপায় নেই যে এই রাস্তায় বাস চলাচল করে। সূর্য মাথার ওপর দপদপ করে জ্বলছে। ব্যাগ থেকে জলের বোতল নিয়ে গলায় ঢালতেই গোটা শরীর গুলিয়ে উঠল। প্লাস্টিকের বোতলের জল গরম হয়ে বিস্বাদ হয়ে গেছে পুরো। হড়হড়িয়ে বমি উঠে এল মালতীর। সেই সকালে ভাত খেয়ে ট্রেন ধরেছে। তারপর একটানা আড়াই ঘন্টার ওপর বাসে এসেছে।

প্রথম দিকে রাস্তা খুব ভালো ছিল। তারপর বাস যত এগিয়েছে ততই রাস্তার কালো রং ফিকে হতে হতে লাল হয়ে গেছে। বাসের দুলুনিতে তার এমনিতেই বমি আসে। এতক্ষণ খুব চেপে রেখেছিল। কিন্তু আর পারল না। বোতলের গরম জল নিয়েই চোখেমুখে দিল। সুধাকরবাবু বা তার লোক কেউ তো এল না এখনও। সুধাকর বাবুই তো বলে দিয়েছিলেন চণ্ডীতলার মোড়ের মাথায় নামতে। না হলে কন্ডাক্টর একেবারে মন্দিরতলায় নামাত। ওখান থেকে বড়ো রাস্তা আছে গ্রামে ঢোকার।

প্রথম যেদিন ইন্টারভিউ দিতে এসেছিল সেদিন ওখানেই নেমেছিল। চোখে মুখে জল দিয়ে কিছুটা সতেজ লাগছে মালতীর। কিন্তু ভর দুপুর বেলায় এখানে দাঁড়িয়ে কী করবে বুঝে উঠতে পারছিল না মালতী। এখানে নামাটাই তার ভুল হয়েছে। মন্দিরতলায় নামলে কাউকে না কাউকে পেতই। কিন্তু এই মাঠের মাঝে কেউ নেই। একটা সরু পায়ে চলা পথ চলে গেছে গ্রামের দিকে। দূরে গ্রামের বাড়িগুলো রোদের তাপে কাঁপছে মনে হচ্ছে। বাস যাওয়া লাল রাস্তাটা সোজা গিয়ে বাঁক নিয়েছে ডান দিকে। পরের স্টপেজটাই মন্দিরতলা। রোদের জোর বাড়ছে ক্রমশ। মালতী বোতল থেকে আবার কিছুটা জল নিয়ে মুখে চোখে ঝাপটা দিল। রুমালে মুখ মুছে তাকাতেই সুধাকরবাবুকে দেখল সাইকেলে চেপে দ্রুত আসছেন।

সাইকেল থেকে নেমেই হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, ‘মাপ করবেন ম্যাডাম, আমার আসতে একটু দেরি হয়ে গেল। একটা কাজে আটকে গিয়েছিলাম। আসুন আমার সঙ্গে।’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...