অন্য দিনের চেয়ে সহেলির ঘুম আজ একটু তাড়াতাড়ি ভেঙে গেল। পাশে রাখা ঘড়িটায় চোখ পড়ল, সাড়ে ছ’টা প্রায় বাজে। সকালের খবরের কাগজটা এতক্ষণে নিশ্চয়ই এসে গিয়ে থাকবে। মনে হতেই চটপট বিছানা ছেড়ে নেমে এল। বারান্দার দরজা খুলতেই মাটিতে পড়ে থাকা খবরের কাগজটায় ওর চোখ আটকাল। সযত্নে তুলে এনে নিজের বিছানায় এসে বসল। কাগজটা চোখের সামনে মেলে ধরে একটা একটা করে পাতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগল। চোখে মুখে এক অধীর আগ্রহ। হঠাৎ-ই একটা খবরে এসে চোখ আটকে গেল তার। মুখে ফুটে উঠল কুটিল হাসি।

রান্নাঘর থেকে মায়ের গলা ভেসে এল, ‘চায়ের কাপটা এসে নিয়ে যা, শুধু শুধু ঠান্ডা হচ্ছে।’

সহেলি উত্তর দিল না। পুরো খবরটা মন দিয়ে পড়া শেষ করে কাগজটা পাশে সরিয়ে রাখল। আবার মায়ের গলা পেল, চায়ের জন্য ডাকাডাকি করছেন।

‘এত চ্যাঁচাচ্ছ কেন, খবরের কাগজটা একটু পড়ছিলাম। তোমার আর তর সইছে না...’, বিরক্ত হয়ে উত্তর দেয় সহেলি।

মেয়ের কথায় মা-ও চুপ করে থাকেন না, ‘এই শীতের সকালে উঠে তোদের জন্য করেও মরব আর তোরা কথা শোনাতেও ছাড়বি না। এমন কী খবর পড়ছিস যে সকলের আগে আজ কাগজ নিয়ে বসে পড়লি?’

‘খবর তো সবসময় স্পেশাল-ই হয় তাই জন্যই তো পাতায় আলাদা করে ছাপা হয়, যাতে সকলে পড়ে আর জানতে পারে। চায়ে চুমুক দিতে দিতে সহেলি মায়ের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়, ‘মা আমাকে তাড়াতাড়ি বেরোতে হবে। তবে খবরের কাগজে কী পড়ছিলাম সেটা যদি জানতে চাও আমি বলতে পারি। তুমি কি শুনতে ইন্টারেস্টেড?’

‘হ্যাঁ, তাড়াতাড়ি বল...’ মা তাড়া লাগান।

‘মা... রকি-কে তোমার মনে আছে, আমার সঙ্গে কলেজে পড়ে? হিরোদের মতো হাবভাব... তুমি যার চুলের স্টাইল দেখে হেসে গড়াতে...’

‘ও... হ্যাঁ... রকি? বাইকে করে আসত? তোর পেছনেও তো কিছুদিন ঘোরাঘুরি করেছিল?’

‘হ্যাঁ, মা... তুমি ঠিকই বলছ... আমার জন্য অনেক ঘোরাঘুরি করেছে... ওর অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। খবরটা বেশ বড়ো করে বেরিয়েছে। সম্ভবত ড্রিংক করে বাইক চালাচ্ছিল। খবরটা কাল আমায় ফোন করে রজত জানিয়েছিল। সে তো সাংবাদিক, ওকে দেখতে হাসপাতাল যাব। ওখান থেকে সোজা কলেজ চলে যাব।’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...