সোম দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকাল। দশটা বেজে গেছে। তার দশতলার ফ্ল্যাট-টা থেকে নীচের গাড়ি-ঘোড়ার আওয়াজ প্রায় কিছুই শুনতে পাওয়া যায় না। তাই দশটাতেই মনে হচ্ছে রাত নিঝুম হয়ে পড়েছে। স্বাতী রোজই ডিনার করে নীচে একটু হাঁটতে যায়। আজ সোমের মনে হল স্বাতী একটু বেশি দেরি করছে উপরে আসতে।

আট বছরের ধ্রুব বসবার ঘরে টিভিতে কার্টুন দেখছে মন দিয়ে, সোম ভাবল পড়াশোনার সময় এতটা মন দিয়ে ধ্রুবকে কোনওদিন পড়তে দেখে না। সে নিজেও ল্যাপটপে সার্ফিং করতে করতে বোর হয়ে উঠেছিল। ল্যাপটপ বন্ধ করে বারান্দায় এসে দাঁড়াল। উপর থেকে স্বাতীকে খোঁজার চেষ্টা করল কিন্তু কিছুই নজরে এল না। দরজার একটা চাবি নিয়ে ড্রযিংরুমের দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে দরজা টেনে দিল। সোজা পা বাড়াল লিফট-এর দিকে।

তাদের হাউজিং কমপ্লেক্সের চারপাশে এখনও সব আলোগুলো জ্বলছে দেখল সোম। নীচে আবাসনের অনেকেই হাঁটতে বেরিয়েছে কিন্তু স্বাতী কোথাও নেই। ঘুরতে ঘুরতে সোম আবাসনের শপিং কমপ্লেক্সের ভিতরও একবার ঢুঁ মারল। সেখানেও স্বাতী নজরে পড়ল না। এত রাতে গেল কোথায়? চিন্তার ভাঁজ পড়ল কপালে।

হঠাৎই যেদিকটায় আলো একটু কম সেদিকে চোখ পড়তেই, সোম দেখল স্বাতী কথা বলতে বলতে হাঁটছে, সঙ্গে একজন পুরুষমানুষ। দেখেই সোমের বেশ রাগ হল। ইচ্ছে হল স্বাতীর সামনে গিয়ে কষে গালে একটা থাপ্পড় মারে। কিন্তু আশেপাশে এত মানুষজন দেখে নিজেকে সংযত করল সোম। সে নিজেও একটু দূরত্ব রেখে ওদেরকে অনুসরণ করল। তারপর একটু খালি জায়গা দেখে হাঁক দিল, স্বাতী!

চমকে পিছনে তাকাল স্বাতী। মুখে নানা ভাবের আনাগোনা লক্ষ্য করল সোম। স্বাতীর সঙ্গের পুরুষটিকে বহু আগে থেকেই চেনে সে। সুতরাং মুখে হাসি টেনে সোম জিজ্ঞেস করল, আরে প্রশান্ত কেমন আছো?

প্রশান্তর সঙ্গে করমর্দন করা শেষ হলে, হাসি মুখেই প্রশান্ত জবাব দিল, আমি ভালোই আছি। তোমার কী খবর বলো?

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...