অন্ধ্রপ্রদেশ তখন অবিভাজিত ছিল। হায়দরাবাদের এক প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে, একসঙ্গে পড়ত আকাশ এবং সুমনা। আকাশ ছিল স্থানীয় যুবক। আর সুমনার বাড়ি ছিল কলকাতায়। ওদের দুজনের মধ্যে গড়ে উঠেছিল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ফাইনাল ইয়ার-এর পরীক্ষা হয়ে ক্যাম্পাসিং-এ জব-অফারও ছিল দুজনের। কিন্তু দুজনেরই শখ ছিল এমবিএ করার। তাই ওরা টেস্ট দিয়ে ভর্তি হয় হায়দরাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস-এ।

আকাশ ধনী পরিবারের ছেলে। তার বাবা পুলিশ, উচ্চ পদে কর্মরত। আকাশ তার মা-বাবার একমাত্র সন্তান। দামি গাড়ি আছে তাদের। গাড়ি ড্রাইভ করতে ভালোবাসে আকাশ।

সুমনা কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তবে তার বাবা ভালো চাকরি করেন। আকাশের মতো সুমনাও মা-বাবার একমাত্র সন্তান।

আকাশ এবং সুমনার সম্পর্কের বিষয়টি জানতেন দুই বাড়ির লোকেরা। সুমনার মা-বাবা বিষয়টিকে খুব স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছিলেন কিন্তু বিয়ের কথা উঠতেই আপত্তি তুলেছিলেন আকাশের মা-বাবা। কারণ, তারা তাদের ছেলের সঙ্গে একই ভাষাভাষির স্থানীয় কোনও মেয়ের বিয়ে দেবার ইচ্ছে পোষণ করেন। কিন্তু আকাশের অনিচ্ছার জন্য তার মা-বাবা পিছু হঠতে বাধ্য হন। তাই, আকাশ ও সুমনার সম্পর্ক আরও গাঢ় হতে থাকে।

তারা মাঝেমধ্যে লং ড্রইভ-এ যেত। কারণ, আকাশ গাড়ি চালিয়ে দূরে যেতে ভালোবাসত এবং গাড়িও চালাত ভালো। শুধু তাই নয়, ধীরে ধীরে সুমনাকেও গাড়ি চালানো শিখিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিল আকাশ। আসলে, তারা তখন নিজেদের শখ-আহ্লাদ পূরণে ব্যস্ত ছিল। এতটাই ব্যস্ত ছিল যে, একটি সংস্থার কিছু ইউনিক কাজ করে সাফল্য পেলেও কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেনি সুমনা। অথচ, ওই সংস্থা সুমনার কাজে এতটাই খুশি ছিল যে, তাকে অ্যাওয়ার্ড দেয় এবং স্থাযী চাকরি অফার করে।

সময় এগিয়ে চলে তার নিজের গতিতে। কলেজের ফাইনাল ইয়ার-এ পৌঁছে পরীক্ষায় ভালো ফল করে আকাশ এবং সুমনা। সেই সঙ্গে, একাধিক সংস্থায় চাকরির অফারও পায় তারা। কলেজের অন্যান্য স্টুডেন্টরাও একই ভাবে ভালো রেজাল্ট এবং কর্মজীবনে প্রবেশ করার অফার পেয়ে খুশি ছিল। তাই, সবাই চাইল এক বিদায়ী জমায়েত। হলও তাই। তারা সবাই একটি গেস্ট হাউস ভাড়া নিল। সেখানে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত চলল খানাপিনা, হইহুল্লোড়।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...