সৌগত তাড়াতাড়ি সব কাজ শেষ করে তৈরি হয়ে বেরোতে যাবে, কেট জিজ্ঞেস করল, এখনই যাচ্ছ? জুতো পায়ে গলাতে গলাতে সৌগত উত্তর দিল, হ্যাঁ, আর কী, দুঘন্টা তো এয়ারপোর্ট পেঁছোতেই লেগে যাবে।

সৌগত কিছুতেই উত্তেজনা চেপে রাখতে পারছে না। সামনেই সোফাতে ওর দুই ছেলে-মেয়ে চুপচাপ বসে বাবাকে লক্ষ্য করেলেমেয়ে কারওকেই বাবার এই উত্তেজনা স্পর্শ করেছে বলে মনে হল না। পাথরের মতো দুজনে বসে রইল।

সৌগত ইশারায় স্ত্রীর কাছে, ছেলে-মেয়ে চুপ করে থাকার কারণ জানতে চাইল। কেটও ইশারাতেই জানাল চিন্তা না করে, এয়ারপোর্টের জন্য রওনা হতে। সৌগত-র মধ্যে দ্বিধার ভাব লক্ষ্য করে আশ্বাসের সুরে বলল, দেরি কোরো না। মা বাবাকে যতক্ষণে নিয়ে বাড়ি ফিরবে, তার মধ্যে আমরা সবাই চানটান করে রেডি হয়ে থাকব।

একুশ বছর হয়ে গেছে, এই প্রথম শোভনবাবু আর গৌরীদেবী একমাত্র সন্তান সৌগতর গোছানো সংসার একবার চোখের দেখা দেখতে লন্ডন আসছেন। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে সেই যে চাকরি নিয়ে বিদেশ এসেছে, আর ফিরে যায়নি সৌগত।

প্রথম এসেই লন্ডনের রিচমন্ড এলাকায় এক কামরার একটা ঘর ভাড়া নিয়েছিল সে। নীচে বাড়িওয়ালারা থাকতেন আর উপরের একটা ওয়ান রুম কিচেন বাথরুম নিয়ে সৌগত ভাড়াতে থেকে গিয়েছিল। ঘরটা ভারি পছন্দ হয়ে গিয়েছিল তার। ঘরের এক দিকটায় বড়ো বড়ো কাচের জানলা ছিল, যেখানে দাঁড়ালে টেমস নদীটা নজরে পড়ত।

সেসময় ভাড়াও খুব বেশি ছিল না। বাড়িওয়ালার একমাত্র মেয়ে কেট দিব্যি ভাব জমিয়ে ফেলেছিল সৌগতর সঙ্গে। যেদিন অফিস থেকে ফিরতে একটু বেশি দেরি হয়ে যেত সৌগতর, কেট এসে মেন গেট খুলে দিত। গুছিযে রাতের খাবারটা হাতে ধরিযে দিত যাতে, রাত্রে আর সৌগতকে হাত পুড়িয়ে রান্না না করতে হয়।

বিদেশে যেখানে দুটো মনের কথা বলার জন্য মানুষ ব্যাকুল হয়ে ওঠে, সেখানে কেটের মিষ্টি স্বভাব, অপরকে সাহায্য করার মানসিকতা সহজেই সৌগত-র হৃদযে জায়গা করে নেয়। দুজনেই একে অপরের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ বোধ করতে থাকে। কেট মুখে কিছু না বললেও, তার চোখের ভাষা পড়তে সৌগতর ভুল হয় না।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...