এয়ারপোর্ট থেকে কৌশিক কোম্পানির গাড়িতে যখন নতুন বাড়ির দরজায় এসে নামল, তখন বেলা গড়িয়ে গেছে। খুব ক্লান্ত না লাগলেও মনটা ভালো লাগছিল না। স্ত্রী রূপাকে সঙ্গে আনতে পারেনি।   ও নাঙ্গালেই বাপের বাড়িতে রয়ে গেছে। সাত মাস চলছে সুতরাং ওই অবস্থায় এই নতুন জায়গায় ওকে নিয়ে আসতে কৌশিক একেবারেই রাজি হয়নি।

একটা প্রোমোশন এবং ট্রান্সফার নিয়ে কৌশিক চণ্ডীগড় এসেছে। পঞ্জাবের নাঙ্গালেই কউশিকদেরও বাড়ি। ওখানেই ও বড়ো হয়েছে। অবশ্য চণ্ডীগড় আগেও বহুবার এসেছে তবে তখন হোটেলেই থেকেছে। এখন কোম্পানি ওকে বড়ো বাড়ি দিয়েছে।

গেট দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিল কৌশিক। বাড়ির সামনে সুন্দর কেয়ারি করা সবুজ লন। নানারকম ফুলের গাছ লাগানো। দুটো বড়ো গাছও চোখে পড়ল তবে কীসের গাছ বুঝতে পারল না কৌশিক। ওর গাড়ির ড্রাইভারই এগিয়ে এসে দরজার তালা খুলে দিল পকেট থেকে চাবি বার করে আর চাবিটা কৌশিকের হাতে ধরাল।

ততক্ষণে বাইরে অন্ধকার নেমেছে। ড্রাইভার গাড়ি থেকে কৌশিকের দুটো সুটকেস নামিয়ে এনে বাড়ির ভিতরে রেখে ওর অনুমতি নিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেল। কৌশিক ওর মুখেই জেনে নিল পরের দিন অফিস যাওয়ার জন্য ও-ই আবার গাড়ি নিয়ে নটায় উপস্থিত হবে।

কোম্পানির দেওয়া ফার্নিশড ফ্ল্যাটে প্রয়োজনের সবকিছুই রয়েছে সেটা কৌশিক আগেই খবর নিয়ে নিয়েছিল তাই জামাকাপড় এবং টুকিটাকি কয়েকটা জিনিস ছাড়া আর কিছুই সঙ্গে করে আনেনি। আর চণ্ডীগড় বড়ো শহর সুতরাং দরকারে সবকিছুই কিনে নেওয়া যাবে। সোফায় গা এলিয়ে চোখ বুজল কৌশিক। এক কাপ চা হলে মন্দ হতো না। রূপার কথা মনে হল। কী জানি কি করছে ও এখন। মোবাইলটা বার করে রূপার নম্বর মেলাতে যাবে বাইরের দরজায় টোকা দেওয়ার আওয়াজ কানে গেল। উঠে এসে দরজা খুলতেই দেখল তিরিশ একত্রিশ বছর বয়সি এক মহিলা দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...