থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল ইলা। মায়ের ঘরে আধাখোলা দরজাটার ভিতর থেকে কথাগুলো ভেসে এসে ইলার কানে তপ্ত  তরল ঢেলে দিল যেন... অফিস থেকে ফিরে বাইরের ঘরের দরজাটা খোলা দেখেই মেজাজ-টা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল ইলার। সবাই নিশ্চয়ই ভিতরে বসে গল্পে মশগুল... পাড়ায় আজকাল দিনে দুপুরে চুরি হচ্ছে... অথচ বাড়িতে দ্যাখো কারও হুঁশ নেই...। মনে মনে তৈরি হয়ে ছিল মা-কে ঝাড়বে বলে কিন্তু মায়ের ঘরের সামনে এসে আর এগোতে পারল না ইলা, ওখানেই পাথরের মতো দাঁড়িয়ে পড়ল।

ঘরের ভিতর থেকে ছোটো ভাই শিবুর গলা ভেসে এল, ‘দ্যাখো মা, এরপর আমি আর এখানে আসব না। সারা পাড়ায় দিদিকে নিয়ে যেভাবে চর্চা চলছে তাতে লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছে। কারও সঙ্গে দেখা হলে লজ্জায় চোখ তুলে কথা বলতে পারি না। কী দরকার দিদির, সম্রাট স্যারের সঙ্গে টুরে যাওয়ার? নিজের কথা নাই বা ভাবল, অন্তত বাড়ির লোকেদের সম্মানের খেয়ালটা তো রাখা উচিত।’

আধখোলা পাল্লাটার ভিতর থেকে মায়ের উপর দৃষ্টি পড়ল ইলার। শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে খানিকক্ষণ চুপ করে থাকল মা। তারপর ভাইকে উদ্দেশ্য করে মা-কে বলতে শুনল, ‘আমিই বা কী করি বল? বাড়ির সমস্ত দায়িত্ব ও নিজের কাঁধে নিয়ে আমারও তো মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। কিছু বলতে গেলেই রেগে ওঠে। আমার এই বাড়িতে দম বন্ধ হয়ে আসে। কিছু বললেই আত্মহত্যা করবে বলে ভয় দেখায়। এবার আমি তোর সঙ্গে তোর ওখানে চলে যাব, ও থাকুক এখানে একা। বাপের সব দায়িত্ব নিয়েছে বলে কি মাথায় চড়ে নাচবে? এমন কার্যকলাপ করছে যে মুখে কালি লাগতে আর দেরি নেই। কত সম্বন্ধ এল কিন্তু তোর দিদির কাউকেই পছন্দ হল না। এখন এত বয়সে কোন ছেলেই বা ওকে বিয়ে করবে? তার উপর একবার যদি বদনাম রটে যায়...’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...