‘জায়গাটা কেমন, আমায় একটু বলে দাও না।’

খুব আস্তে আস্তে দুলছে দোলনাটা। দু’হাতে দু’পাশের দড়ি ধরে রেখেছে বল্লরী। দোলার তালে গোড়ালির কাছে শাড়ির থোকা লুটিয়ে যাচ্ছে। তার পায়ের বুড়ো আঙুলও তখন আলতো করে মাটি ছুঁয়ে আবার উঠে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে দু-একবার পাখির ডাক ছাড়া একফোঁটাও শব্দ নেই কোথাও। তাই ভালো লাগছে বল্লরীর। বেশি শব্দ তার মাথার ভেতরে যন্ত্রণা ছিটিয়ে দেয়।

মাটির দাওয়ায় তিন ধাপ সিঁড়ি। মাঝেরটিতে বসে ছিল প্রত্যুষ। বল্লরীর দিকে তাকাল সে। পিঠে পড়ে আছে লম্বা বেণি। এককুচি চুল কানের পাশ দিয়ে এসে গালের কাছে দুলছে। ফরসা, গোল ছাঁদের মুখে পাতলা ঠোঁট। বল্লরী তাকিয়ে রয়েছে সামনে। কিন্তু তার চোখের মণি স্থির।

প্রত্যুষ বলল, ‘বাড়িটা মাটির, বলেছি তো তোমায়। তবে ঘরের দুটো দিকের দেয়াল মাটির হলেও বাকি দু’দিকে কাচ লাগানো। সেখানে ছবি আঁকা, লতা-পাতা, ফুল, হরিণ। পিছনের আর বাঁদিকের বাগানটা দেখা যাচ্ছে কাচের ভেতর দিয়ে। ঘরের ছাদটা চুড়ো মতো, অনেক উঁচুতে। সেখানেও ছবি আছে, আদিবাসীদের ঘরের দেয়ালে যেমন থাকে, তেমন। বাইরের চালে খড়।’

বল্লরী বলল, ‘আমরা তাহলে গ্রামের বাড়িতে আছি বলো।’

‘বলতে পারো।’

‘আর সামনেটা?’

দাওয়ার খুব কাছে তিনটে চড়ুই আর দুটো শালিখ তুড়ুক তুড়ুক লাফাচ্ছে। মাঝে মাঝে ঘাসে মুখ ডুবিয়ে কী খুঁটে তুলছে, আবার এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে ছটফট করে। প্রত্যুষ সেদিক থেকে চোখ সরিয়ে বলল, ‘এই তো, ছোটো ছোটো বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঘেরা একটা পুকুর। জল থইথই করছে। শালুক ফুটে রয়েছে তাতে। পাশ দিয়ে একটা সরু রাস্তা। পুরো জায়গাটাই নীচুমতো মাটির পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। রাস্তাটা যেখানে শেষ সেখানে একটা কাঠের দরজা আছে। কালো রঙের। ওটা দিয়েই আমরা এখানে ঢুকেছি। তার বাইরে আরেকটা মাটির বাড়ি। তবে দোতলা। জানো, আমরা যেখানে আছি সেটার নাম এক্বা। আর ওই বাড়িটার নাম দোক্বা।’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...