দিদি থাকত মা-বাপির কাছে, আর ও মামাবাড়িতে। ওর মনের এক কোণে যেমন ধুলোটে বিষাদ জমে আছে বাপি-মায়ের ভালোবাসার জন্য, দিম্মা পায়েলের থেকে ওকে বেশি ভালোবাসায় দিদির মনেও কী কোথাও হিংসের বীজ রয়ে গেছে? দিদির গায়ে রংটা ওর তুলনায় একটু চাপা। দিম্মামা মাঝে মাঝে মজা করে সেকথা দিদিকে বলত। কস্তুরী শুনেছে। সেটাই কি দিদির মনে গভীর জাল বুনে মনে মনে এতটা পাঁকের আকার নিয়েছে? উফঃ মাথার রগদুটো দপদপ করছে। ভাবতে পারছে না আর।

দিদির জীবনে এত বড়ো একটা খুশির সময় কিন্তু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না কস্তুরী। কেউ কেন বুঝতে পারছিল না এই চরিত্রহীন লম্পট মানুষটার সঙ্গে বিয়ে হলে দিদি ঘর বাঁধতে পারবে না; অঘটন ঘটবে আরও বেশি। কী করে বিশ্বাস করাবে সবাইকে যে, ও দিদির ভালো চায়।

দেখতে দেখতে সেই সর্বনাশের দিনটা এসেই পড়েছিল। বিয়ে নয়, আশীর্বাদ। ইচ্ছে না থাকলেও বাপি-মায়ের সঙ্গে ওকে যেতে হয়েছিল দিদির শ্বশুরবাড়ি। অনেক লোকজন, হই-হল্লা, খাওয়াদাওয়ায় বেলা গড়িয়ে যাচ্ছিল। খোলামেলা পরিবেশে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাঝে আলাপ হয়েছিল ওর বয়সি দুএকজন ছেলেমেয়ে সাথে। দিদি আসেনি, তবুও হবু শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেকেই পায়েলের কথা আলোচনায় মশগুল ছিল। কস্তুরী অবাক হয়ে দেখছিল কীভাবে ওর জামাইবাবু শুধুমাত্র অভিনয় করে একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখল। সবার মাঝে থাকলেও ওর সঙ্গে এসে মাঝে মধ্যে ফর্মালি ইয়ার্কি ঠাট্টা করে যাচ্ছিল। বোঝাতে চাইছিল ওদের সম্পর্কটা নেহাতই আর পাঁচটা শালি-জামাইবাবুর মতো মজার।

হঠাৎ বাড়ি চলে আসার সময়ই একটা ঘটনা ঘটে। বিয়ে পরে দিদি যে-ঘরে থাকবে জামাইবাবুর মা ওকে ডেকে নিয়ে যায় সে ঘরে। ঘরের রং, নতুন পর্দা, এসি মেশিনের প্রপার অ্যাডজাস্টমেন্ট দেখাতে দেখাতে কিছুটা কাছে সরে এসে ভদ্রমহিলা বলেন, তোমাদের বাড়ির অবস্থা তো বিশেষ ভালো নয়। তোমার দিদিকে যেমন সবকিছু আমরাই দিচ্ছি, তোমাকেও দেবো, চিন্তা কোরো না। ঋজু যদি কিছু করে থাকে তাহলে সেটা তোমার মধ্যেই রেখো। পাঁচকান কোরো না। কী লাভ বলো? তোমার দিদি খামোকা কষ্ট পাবে। আর তাছাড়া এসব জানাজানি হলে পরে যদি তোমারও বিয়েটা আটকে যায়?

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...