খুব ভালো চাকরি করিস নিশ্চয়ই? তোর মতো স্মার্ট আর ইন্টেলিজেন্ট মেয়ে! তোকে ছোটোবেলায় মনে মনে খুব হিংসে করতাম, জানিস রীতা?

—আমার কথা ছাড়, তোর কথা বল, তুই কী করছিস? তুই কি কল্যাণীতেই থাকিস? রীতা যেন কিছুটা প্রসঙ্গ এড়াতে প্রশ্নগুলো করল।

—না রে, কালকে বাবা ফোন করে খবর দিল, মার শরীরটা ভালো নেই। তাই আজ অফিস থেকে একটু তাড়াতাড়ি বেরিয়ে মা-কে দেখতে যাচ্ছি। আমি কলকাতায় একটা মেয়েদের হোস্টেলে থাকি। কাল ছুটি আছে, তাই আজকের রাতটা মার কাছেই থাকব। একটু থেমে, রীতাকে চুপ করে থাকতে দেখে কুহেলি আবার জিজ্ঞেস করল, তুই কি বাড়িতে যাচ্ছিস। তুই এখানে কোথায় থাকিস? কাকু কাকিমা কেমন আছেন? কতদিন তোদের বাড়ির ওই দিকে যাওয়া হয়নি।

—আমি এখন কল্যাণীতে বাবা-মার সঙ্গেই থাকি। কলকাতায় একটা কাজে এসেছিলাম, এখন বাড়ি ফিরছি। বাবা-মা ভালোই আছেন। খুব ক্লান্ত গলায় রীতা জবাব দিল।

রীতার কথাগুলো শুনে মনে হল কুহেলি আকাশ থেকে পড়ল। ছোটোবেলায় রীতা ওর বিদ্যা, বুদ্ধি আর সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত ছিল। ওর সমবয়সি বা অসমবয়সি অনেকেই ওকে হিংসে করত। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকে অবশ্য কুহেলি রীতার আর কোনও খোঁজ পায়নি। কুহেলির ঘোর কাটলে ও আবার জিজ্ঞেস করল, 'তুই কল্যাণীতে আছিস, মানে? তুই কি এখানেই চাকরি করিস? তুই বিয়ে করিসনি?”

—সে অনেক কথা। বিয়ে করিনি, তবে আমার বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাবা-মার অভাবের সংসারে আমাকে বেশিদিন রাখতে না পেরে বিয়ে দিয়েছিল একজন বড়োলোক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। সে আমার রূপটা দেখেছিল কিন্তু গুণটা নয়। তাই বিয়ের পর পড়াশোনায় ইতি টানতে হয়। ইচ্ছে ছিল ইউনিভার্সিটির পড়া শেষ করে একদিন কলেজে চাকরি করব। না, সেটা আর হয়ে ওঠেনি। রীতার স্বরে রাগ না দুঃখ, সেটা কুহেলি ঠিক বুঝতে পারল না।

—তোর বর তো বললি বড়োলোক, তাহলে বিয়ের পর পড়াশোনাটা করলি না কেন? কুহেলি অবাক গলায় জিজ্ঞেস করল।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...