২০২০ সালের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আমরা স্বাভাবিক জীবন-যাপন থেকে বঞ্চিত হয়েছি করোনা-র কারণে। মাঝে লকডাউন কিছুটা শিথিল হলেও,এখনও পর্যন্ত আমরা প্রায় গৃহবন্দি জীবন কাটাচ্ছি। একঘেয়ে হয়ে উঠেছে জীবন।তাই এখন আমরা মুখিয়ে আছি মুক্তির স্বাদ পাওয়ার জন্য। করোনা থেকে মুক্তি পেলে বেশিরভাগ ভ্রমণপিপাসু মানুষের তাই ডানা মেলে উড়ে বেড়ানোর ইচ্ছে হবেই। কিন্তু কাছেপিঠে কোথায় যাবেন,কী দেখবেন,এই বিষয়ে যাতে আপনি দিশাহারা না হয়ে পড়েন,তারজন্য 'গৃহশোভা' নিল এক বিশেষ উদ্যোগ।পাঁচ দিনে পাঁচটি জনপ্রিয় স্পট-এর হদিস থাকছে এই লেখায়। আজ পড়ুন জিম করবেট অঞ্চলের রূপের কথা।
জিম করবেট
সবুজ পাতার ফাঁক থেকে ওই বুঝি বেরিয়ে এল সেই ভয়াল সুন্দর। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অবাধ বিচরণভূমি এই জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক। অ্যাডভেঞ্চার-প্রিয় মানুষের ড্রিম ডেস্টিনেশন হিসাবে ওই জন্যই বোধহয় করবেট পার্ক এত প্রিয়। উত্তরাখণ্ড হিমালয়ের পাদদেশে এই বনস্থলি ভারতের পুরোনো ন্যাশনাল পার্কগুলির অন্যতম।
জঙ্গল ভ্রমণের জন্য এখানে রয়েছে তিনরকমের ব্যবস্থা। জিপ সাফারি, এলিফ্যান্ট সাফারি এবং ক্যান্টার সাফারি। ক্যান্টার হল ১৬ আসনের ওপেন এয়ার বাস। এটি রামনগর থেকে ঢিকালা পর্যন্ত যাতায়াত করে। জিপ সাফারি অন্ততপক্ষে একমাস আগে বুক করে রাখা ভালো। এলিফ্যান্ট সাফারির জন্য অবশ্য অগ্রিম বুকিং-এর প্রয়োজন নেই। ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ বেসিস-এ পাওয়া যায়। সকালে ৬ টা থেকে ৯টা এবং বিকেলে ৩টে থেকে ৫টা– এই সময়ের মধ্যে জঙ্গল ভ্রমণ করানো হয়।
জঙ্গল ঘোরা যায় মূলত চারটি ভাগে। ঢিকালা জোন, ঝিরনা জোন, বিজরানি জোন এবং দুর্গাদেবী জোন। ঢিকালা অংশে ঢোকার জন্য ধানগাড়ি গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। এটাই সবচেয়ে বৃহৎ। থাকার ব্যবস্থা এই অংশেই সবচেয়ে বেশি। ঝিরনা জোনের জন্য প্রবেশদ্বার ঝিরনা গেট। রামনগর থেকে ১৬ কিমি দূরে এর অবস্থান। শাল জঙ্গল আর মানুষ-সমান উঁচু ঘাসের জঙ্গলে ঘেরা বিজরানি জোনে ঢুকতে হলে আসতে হবে আমডানডা গেট-এ। হাতি, বানর, বাঘ, চিতল এ অংশে প্রচুর। দুর্গাদেবী অংশটি পাখি দেখার জন্য আদর্শ, ঢুকতে হয় দুর্গাদেবী গেট দিয়ে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জুনের শেষ অবধি করবেট বেড়ানোর আদর্শ সময়। যেতে হলে দিল্লি থেকে রানিখেত এক্সপ্রেস-এ উঠে পড়ুন। নামুন রামনগর স্টেশনে।