গুজরাতের একমাত্র হিল স্টেশন সপুতারাকে পর্যটকদের কাছে আরও জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে, একমাসের যে মনসুন ফেস্টিভ্যাল-এর আয়োজন করেছিল পর্যটন দফতর, তারও খানিক শরিক হয়েছিলাম আমরা। রক ব্যান্ড, মিউজিক্যাল অর্কেস্ট্রা, গজল ছাড়াও উপভোগ করেছি ডান্ডিয়া এবং রাস গরবা।

নৈশভোজের সময় ঝমাঝম করে বৃষ্টি নামায় পাহাড়ি প্রকৃতি আরও উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল। তবে বৃষ্টি অবিশ্রান্ত ছিল না। পরদিন সকালে সপুতারার আকাশ ছিল রোদ ঝলমলে। তাই মোলায়েম রোদ গায়ে মেখে বেরিয়ে পড়েছিলাম ভবানী সিংহ-র গাড়িতে। প্রথমে গেলাম হনুমানের জন্মস্থান অঞ্জন কুন্ড দর্শনে। সরু এক ঝিরঝিরে নদীর পাড়ে হনুমান মন্দির। অদূরেই এক ছোট্ট গ্রামে জ্বালানির কাঠ, শসা, ডাব এবং ভুট্টা বিক্রয়কারী আদিবাসীদের জীবনযাত্রা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ ঘটেছিল। ওখান থেকে আমরা গেলাম সবরি ধামে। রাম চোদ্দো বছর বনবাসের এগারো বছর নাকি এই অঞ্চলেই কাটিয়েছিলেন, এমনই লোকগাথা রয়েছে। মন্দিরে রাম-লক্ষণ এবং সবরিদেবী দর্শন করে মুখে শুকনো কুলের প্রসাদ তুলে আমরা রওনা দিলাম বোটিং হাউস-এর উদ্দেশে।

১৫০ ফুট গভীরতা সমৃদ্ধ সপুতারা সরোবরের টলটলে নীলাভ জলে হালকা ঢেউ ভেঙে বোটিংয়ের আনন্দ নেওয়ার পর আমাদের গন্তব্য ছিল সপুতারা মিউজিয়াম। পাহাড়ি অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস এবং আদিবাসীদের আদিম জীবনধারা প্রত্যক্ষ করে আমরা পৌঁছোলাম আর্টিস্ট ভিলেজ-এ। স্থানীয় চিত্রশিল্পী সূর্য গোস্বামী দেখালেন ‘মুখট’ (মুখোশ) বানানোর পদ্ধতি এবং উপকরণ। এরপর শিবাজি ফোর্ট ঘুরে সন্ধে সাতটায় সানসেট পয়েন্ট থেকে সূর্যাস্ত উপভোগ করে আবার ফিরলাম পাহাড়ি বাংলোয়।

তৃতীয় দিন আমাদের ফেরার পালা। তাই আগের রাতে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। ভোরবেলা উঠে দেখি আকাশ মেঘলা। খানিক বাদে বৃষ্টিও নামল। তবে সে বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। অতএব, ফেরার পথে সপুতারা-র বাকি অংশ দেখার উদ্যোগ নিলাম।

মধ্যাহ্নভোজ সেরে লাগেজ নিয়ে উঠলাম গাড়িতে। এরপর গাড়ি আমাদের নিয়ে গেল সপুতারার দুটি বিখ্যাত মন্দিরে। শম্ভু টেম্পল এবং গণেশ টেম্পল দেখার পর, বিকেলে পৌঁছোলাম পম্পা সরোবরের সামনে। সরোবরের বিশাল জলাধার স্নিগ্ধ করল শরীর। ঘুরলাম কয়েকটা আদিবাসী গ্রামেও। বাঁশ ও বেতের শিল্পকাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল গ্রামবাসীদের। ভ্রমণপথে চোখে পড়ল ১০৮ লেখা একাধিক পরিষেবা যান। খবর নিয়ে জানলাম, প্রত্যন্ত গ্রামের আদিবাসীরা অসুস্থ হলে বিনামূল্যে এই পরিষেবা যান ব্যবহার করতে পারেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে গাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এমন মোট ৫০০টি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে গোটা পাহাড়ি অঞ্চলে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...