গাড়ি চলছে সমতল পথ ধরে– মাদুরাই থেকে কোদাইকানাল রোডের দিকে, দূরত্ব প্রায় ৪৩ কিমি। এরপর অবশ্য শুরু পাহাড়ি পথ, প্রায় ৮০ কিমি কোদাইকানাল শৈলশহর পর্যন্ত। কোদাইকানাল ভারতের জনপ্রিয় শৈলশহরগুলির অন্যতম। মাদুরাই জেলার উত্তর পশ্চিমে পালানী পাহাড়ে প্রায় ৭০০০ ফুট উচ্চতায় ২১৪৬ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে এই মনোরম পাহাড়ি শহর।

কোদাই শব্দটির অর্থ অরণ্যের উপহার। সমতল পথের শেষে এবার আমরা পাহাড়ের পথে উঠছি– একদিকে পাহাড় আর এক দিকে খাদ। দূরে সবুজ পাহাড়ের প্রেক্ষাপট যেন ঢেউ খেলানো সবুজ পাহাড়ের শৃঙ্খল। এই পথে কলা আর ইউক্যালিপটাস গাছের জঙ্গল। পাহাড়ের ঢালে কফির খেত সঙ্গে আঙুরের চাষও হচ্ছে জায়গায় জায়গায়। যতই গাড়ি ওপরে উঠছে একটা ঠান্ডা আবেশ আমাদের স্পর্শ করে যাচ্ছে। পথে পড়ল ম্যাঞ্জেলার ড্যামের জলাধার, গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলি। আর কিছুটা এগিয়ে সবুজ পাহাড়ের গা বেয়ে নামছে ফিতের মতো সরু ঝরনাধারা– নামটা অদ্ভুত, দমদম ফল্স। রাস্তার ধারে ভিউপয়েন্ট থেকে দূরের এই প্রপাতের সৌন্দর্য আস্বাদন করার ব্যবস্থা আছে।

যাত্রা শুরুতে আকাশ ছিল পরিষ্কার এখন একেবারে মেঘে ঢাকা। এখন সেপ্টেম্বর মাসের শেষ, বর্ষা পেরিয়ে গেছে তবে বৃষ্টি এদিকে যখন-তখন হয়। তামিলনাড়ুতে বছরে বর্ষা হয় দু’বার। নভেম্বর-ডিসেম্বরে এখানে দ্বিতীয় দফার বর্ষা হয়। গাড়ি আরও ওপরে উঠছে। কোদাইকানালের ৮ কিমি আগে রাস্তার এক বাঁকে সাক্ষাৎ হল এক বিশাল জলপ্রপাতের সঙ্গে। কোদাইকানালের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ সিলভার কাসকেড ফল্স। ধাপে ধাপে পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসছে বিশাল জলধারা। ১৮০ ফুট উঁচু থেকে ঝরে পড়া এই প্রপাত যেন কোদাইকানালে আগত সমস্ত মানুষকে স্বাগত জানাচ্ছে। প্রপাতের তলায় সৃষ্টি এক ছোটো পুল সেখানে স্নানে মগ্ন অনেকেই। নানা ধরনের দোকান গড়ে উঠেছে প্রপাতের ধারে। ছবি তুলে আমরা এগিয়ে চলি। শহরের মুখে প্রচণ্ড যানজট কাটিয়ে আমরা পৌঁছে গেলাম আমাদের নির্ধারিত হোটেলে। এটাই আমাদের আগামী দুদিনের আস্তানা।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...