জায়গাটির নাম মালানা। কুলুর খুব কাছেই এই গ্রাম। শুধু সৌন্দর্যের জন্যই নয়। এর অন্য দুটি খ্যাতিও আছে। প্রথমত এই গ্রামটিকে বলা হয় লিট্ল গ্রিস ইন হিমাচল প্রদেশ। এর কারণ হল এই গ্রামের বাসিন্দাদের শরীরে বংশ পরম্পরায় যে-রক্ত বয়ে চলেছে, তা নাকি আলেকজান্ডার-এর। মালানা নালার কোল ঘেঁষে অবস্থিত মালানা, পার্বতী উপত্যকার এক অপরূপ স্পট যার অদূরে চন্দ্রখনি ও দেওটিক্বা পিক। দ্বিতীয় যে-কারণটা মালানাকে খ্যাতি দিয়েছে, তা হল ‘মালানা ক্রিম’ বা হাশিস। পৃথিবীর উচ্চতম মানের চরসের ফলন হয় মালানায়। তাই ফরেন টুরিস্ট ও হিপিদের স্বর্গ মালানা। এই গ্রামটি যেন ভারতবর্ষের অংশ হয়েও পৃথক এক শাসনব্যবস্থা, নিয়মশৃঙ্খলা ও পারম্পরিক ঐতিহ্যে বাঁধা। গ্রামে টুরিস্ট হিসাবে ঢুকলেও কোনও কিছু স্পর্শ করলেই ফাইন দিতে হবে– এই ফতোয়া জারি করা রয়েছে গ্রামের প্রবেশ পথেই।

মালানা যাব ঠিক করে প্রথমেই সিমলা থেকে কুলুর পথে পাড়ি দিয়েছিলাম। মণিকরণ যাবার আগে ভুনটার-এ নেমে গাড়ি ভাড়া করে কাসোল পৗঁছোলাম। কাসোল বস্তুত সার পাস ট্রেক, ইয়ংকার পাস ট্রেক, পিন পার্বতী ও ক্ষীরগঙ্গা ট্রেকের বেসক্যাম্প করার জায়গা। প্রচুর হোটেল রয়েছে কাসোল-এ। এখানে থেকেই মালানা বেড়াব, এটাই ছিল প্ল্যান।

কাসোল-কে মিনি ইজরায়েল বলা হয়। এখানকার অধিবাসীরা অনেকেই ইজরায়েলি। জায়গাটায় বিশ্বের নানা প্রান্তের টুরিস্টের সমাগম। তাই নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায় এখানে। জার্মান বেকারি তার অন্যতম। কাসোল থেকে পরদিন আমরা তোশ গ্রামটি বেড়াতে গেলাম। লোকাল বাসে করে ভারশেনি বলে প্রান্তিক স্টপেজে নেমে অল্প কিছু পথ ট্যাক্সি করে পৗঁছোনো যায় তোশ-এ। একটা ছোট্ট কাঠের সাঁকো পেরিয়ে ঢুকতে হয় গ্রামে। সাদামাটা থাকার হোমস্টে-তে রাতের আস্তানা গেড়ে, গ্রামটা ঘুরে নিলাম। অপূর্ব নিসর্গের মাঝে যেন এক টুকরো স্বর্গে এসে পড়েছি।

পরের দিনটি আমার লিস্টের সেরা ডেস্টিনেশনের জন্য রাখা ছিল। কাসোল থেকে ভাড়া গাড়িতে দেড় ঘন্টা পথ পেরিয়ে পৗঁছোলাম মালানা। শেষের চার কিমি পথ পায়ে হেঁটে যেতে হয়। সময় নেয় ঘন্টা আড়াই। গ্রামে ঢুকতেই অঞ্চলের মানুষজন অনেকেই হাশিস বিক্রি করতে এগিয়ে এল। এক অস্ট্রেলিয়ান পর্যটক দল দেখলাম নেশা করে বুঁদ। পাশেই জুয়ার আসর বসিয়েছে গ্রামের তরুণরা। এ যেন এক অন্য পৃথিবী। ঢিলে-ঢালা লাইফস্টাইল, তার নিজস্ব গতিতে চলে এই গ্রাম। অপূর্ব কাঠের কাজ করা প্রাচীন মন্দির, পশুর মাথা ও হাড় দিয়ে সাজানো ঘর বাড়ি, গ্রামের মানুষজন, এসব দেখেই কেটে গেল দিনটা। ফিরতে হবে সেই কাসোল। তাই আবার হেঁটে অনেকটা নেমে এসে, নদীর গাঁ ঘেঁষে চড়াই পেরিয়ে ট্যাক্সিতে বসলাম কাসোলের উদ্দেশে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...