বল পরাক্রমী হাডসন নদ যেখানে অতলান্তিক মহাসাগরে এসে আত্মসমর্পণ করেছে– সেখানেই বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাকৃতিক বন্দরের গর্বিত অবস্থান। নিউ ইয়র্ক শহরবন্দর– যা কিনা আমেরিকার প্রধান প্রবেশদ্বার। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহত্তম শহর এবং সবচেয়ে জনবহুল শহর। শিক্ষা, সংস্কৃতি, বাণিজ্য, অর্থনীতি, ফ্যাশন, টেকনোলজি, বিনোদন– সমস্ত দিক থেকেই ‘পৃথিবীর সাংস্কৃতিক রাজধানী’ নিউ ইয়র্ক বিশ্বের চোখে উন্নততর জীবনের এক সমুজ্জ্বল উদাহরণ।

রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতর হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক কূটনীতিরও কেন্দ্রস্থল এই শহর। ‘গ্লোবাল পাওয়ার সিটি’ নিউ ইয়র্কে বছরে প্রায় পাঁচ কোটি ভ্রামণিকের আগমন ঘটে। আর নিউ ইয়র্কের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি’ ছুঁতে প্রতি বছর প্রায় দুই কোটিরও বেশি পর্যটকের সমাবেশ ঘটে ‘সিটি অফ স্কাইস্্ক্র্যাপারে’। ১৬২৪ খ্রীস্টাব্দে স্থাপিত হবার পর ১৭৮৫ থেকে ১৭৯০ সাল পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক ছিল আমেরিকার রাজধানী। সুতরাং ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, বিত্ত-বৈভব মিলে, বিশ্বের মানচিত্রে নিউ ইয়র্কের আবেদন অনস্বীকার্য।

আপার নিউ ইয়র্ক উপসাগরের ‘লিবার্টি আইল্যান্ডে’ অবস্থিত ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি এনলাইটেনিং দ্য ওয়ার্ল্ড’ সম্ভবত পৃথিবীর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, প্রিয়, বিশ্ববন্দিত এক সুবিশাল ধাতুর প্রতিমূর্তি যা একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতীক হিসেবে উজ্জ্বল। লোয়ার ম্যানহাটনের ঐতিহাসিক ব্যাটারি পার্ক থেকে লিবার্টির ‘ই-টিকিট’ অনুমোদন করিয়ে নিয়ে আশ্রয় নেওয়া ‘স্ট্যাচু ক্রুজের’ নিশ্চিন্ত ছত্রছায়ায়। ‘স্ট্যাচু ক্রুজের’ দোদুল্যমান ফেরি যখন পৌঁছে দিল ‘লিবার্টি আইল্যান্ডে’, রৌদ্রালোকিত লিবার্টির উন্নত মূর্তিটির পাদদেশে– আমাদের সকলের চোখে তখন বিস্ময়ান্বিত সম্মোহন। রোমান স্বাধীনতার দেবী ‘লিবারটাস’ এর আদর্শে তৈরি ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি’ আসলে মুক্তি, আশা ও স্বাধীনতার প্রতীক। ইতিহাস অনুচ্চস্বরে বলে যায় কানে কানে, ‘লিবার্টি আইল্যান্ডে’র পাশেই ‘এলিস আইল্যান্ডের’র দরজা দিয়ে ১৮৯২-১৯৫৪ সালের মধ্যে প্রায় এক কোটি কুড়ি লক্ষেরও বেশি অভিবাসী নিজেদের দেশ ছেড়ে প্রবেশ করেছিল আমেরিকায়ঃ সুস্থ, স্বাধীন, উজ্জ্বল জীবনের আশায়। প্রায় ১৫১ ফুট উঁচু ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি’ লোহার দৃঢ় কাঠামোর ওপর তামার পাত দিয়ে আবৃত ‘মাদার অফ এগজাইলস’ যার পায়ের তলায় অবিন্যস্ত শিকল, বাঁধনমুক্ত স্বাধীনতার প্রতীক। মূর্তির ডান হাতে স্বাধীনতার জ্বলন্ত সোনালি মশাল আর বাম হাতে আইনের পুস্তিকা যাতে রোমান হরফে খোদাই করা– ৪ জুলাই, ১৭৭৬ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা অর্জনের সেই অবিস্মরণীয় তারিখটি। লিবার্টির মাথার দৃপ্ত মুকুটের সাতটি সূচ্যগ্র ছটায় প্রকাশিত সাতটি মহাদেশ ও মহাসাগরের দ্যোতনা।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...