এই যান্ত্রিক জীবনের থেকে একটু ছুটি নিয়ে, নিজেকে রিফ্রেশ করতে কার না ভালো লাগে। আর তাই মাঝে মাঝে ছুটি নিয়ে বেড়াতে যাওয়াও প্রয়োজন। কিন্তু বেড়াতে যাবার আগে প্রয়োজন কিছু সঠিক প্রস্তুতির। তা না হলে অনেক সময়েই, পরিকল্পনার অভাবে আমাদের ভ্রমণটাই মাটি হতে বসে৷তাই জেনে নেওয়া যাক কিছু ট্রাভেল টিপস।
প্রথমেই, কী কী নেবেন, তার একটি তালিকা সাদা কাগজে তৈরি করে ফেলুন। এই তালিকার মধ্যে রাখবেন-
ট্রাভেল ব্যাগ, গামছা অথবা তোয়ালে, অতিরিক্ত কাপড় (প্রয়োজন অনুযায়ী), সানগ্লাস, টিস্যু পেপার, আগুন জ্বালানোর জন্য লাইটার, বন্য এলাকা হলে কয়েল, জলের বোতল, সাবান, শ্যাম্পু, লোশন, বডি স্প্রে, টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট, আয়না এবং চিরুনি, নোটবুক ও কলম, টর্চ লাইট এবং ব্যাটারি, ক্যামেরা ও ব্যাটারি এবং সাথে চার্জার, মোবাইল আর অতিরিক্ত আরেকটি ব্যাটারি, মোবাইল চার্জার এবং বাইনোকুলার।
Luggage টিপস
প্রত্যেক ট্রিপের প্রয়োজন আলাদা। যেমন হাইকিং বা ট্রেকিংয়ে টেন্ট, স্লিপিং ব্যাগ ইত্যাদি অনেক জিনিস বহন করার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে ব্যাগও তেমন হতে হবে।এই ধরনের ট্রিপে Rucksack বা Travel pack খুব কাজে লাগে।আট-দশ দিনের ট্রিপ হলে হুইলড লাগেজ খুব সহায়ক। হুইলড ডাফলও নিতে পারেন।উইকেন্ড ট্রিপ বা তিন-চার দিনের জন্য ঘুরতে গেলে ক্যারি-অন বা বেসিক ডাফল নিয়ে নিতে পারেন।
কিছু ব্যাগে দু’টি ও কিছু ব্যাগে চারটি চাকা থাকে। চার চাকা থাকায় তা নিয়ে যাতায়াত করাও সহজ। এছাড়াও ব্যাগে ল্যাপটপ কমপার্টমেন্ট, ট্যাবলেট স্টোরেজ থাকে। কিছু ব্যাগে রিমুভেবল ডেপ্যাক থাকে।গন্তব্যে পৌঁছে বড়ো লাগেজ রেখে এই ডে-প্যাক নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন।যে ব্যাগই নিন, ফিরে তা আনপ্যাক করে পরিষ্কার করাও জরুরি।
কিছু ব্যাগ থার্মোপ্লাস্টিক ইউরেথিন দিয়েও তৈরি হয়। ফলে ওয়াটারপ্রুফ হয় এবং স্থায়িত্বও বাড়ে। এই ধরনের ব্যাগের দামও বেশি। আবার কিছু ধরনের ব্যাগ হয় সফ্ট-সাইডেড। এই ধরনের ব্যাগে লাগেজ বেশি ভরা হলেও সমস্যা হয় না। কারণ এই ব্যাগের ইলাস্টিসিটি বেশি। আবার আর এক ধরনের ব্যাগ হার্ড সাইডেড। এই ধরনের ব্যাগে খুব বেশি লাগেজ ভরা না গেলেও এই ব্যাগে জিনিসপত্র অনেক বেশি সুরক্ষিত। কারণ অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে কভার করা থাকায় ভালো প্রোটেকশন পাওয়া যায়। এ বার আপনার প্রয়োজন অনুসারে বেছে নিন।