কন্যাকুমারী বেড়াতে এলে এই অফবিট জায়গাটা মিস করা ঠিক হবে না। এই ভেবে আমরাও কন্যাকুমারী থেকে সকাল সকাল বেরিয়ে প্রথমেই সূচিন্দ্রম মন্দির দর্শন করলাম। এবার পদ্মনাভপুরম প্যালেস ঘুরে চলেছি পুভারের পথে। দুর্দান্ত সড়ক পথ। রাস্তার দু'দিকে জংলি গাছপালার সাথে নারকেল সুপারির হাত ধরাধরি উপস্থিতি! যেন সবুজে সাজানো ছবির সমান্তরাল এগিয়ে চলা। বাড়তি পাওনা লাল টালির ছাদওয়ালা কেরলিয়ান বাড়ি ঘর। ঘন্টা তিনেক পর ছোটো একটা গঞ্জ এলাকায় এসে পড়লাম। এবার হাইওয়ে ছেড়ে গাড়ি বাঁ-দিকে ঘুরে গেল। ঘড়িতে দুপুর সাড়ে বারোটার কাছাকাছি। পৌঁছে গেলাম আমাদের কাঙ্খিত পুভার বোটিং পয়েন্টে।

খালের ধারে নিবিড় নারকেল গাছের রৌদ্রছায়ার মধ্যে কয়েকটি টিনের শেডের অফিসঘর। সংলগ্ন প্রত্যেকটি জেটিঘাটে ছোটো বড়ো সব মোটর বোট নোঙর করা। বেসরকারি এই সব বোটিং কাউন্টারের দেয়ালে পুভারের বোট রাইডের কিছু ছবিসহ রয়েছে রাইডের রেট চার্ট। এই চার্টের বাইরেও রীতিমতো দরদাম চলে। আমাদের ড্রাইভারের চেনাজানা এক কাউন্টারে উপস্থিত হলাম। ম্যানেজার ভদ্রলোক রেট চার্ট দেখিয়ে, রীতিমতো একটা ডেমো দিয়ে দিলেন। আমাদের ছয়জনের জন্য শেষ পর্যন্ত মাথাপিছু ৬০০টাকায় রাজি হলেন। তাতে বোঝা গেল এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও মূল্য নির্ধারিত নেই। পেমেন্ট মেটাতেই পেয়ে গেলাম একটা কালারফুল মোটর বোট। বোটে উঠেই সকলে লাইফ জ্যাকেট পরে নিলাম। আওয়াজ করে চলতে শুরু করল বোট। শুরু হল এক অজানা জল দুনিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা।

neiyar beach

নেইয়ার নদীর সঙ্গমস্থল বেলাভূমির নামই পুভার। যা গোল্ডেন স্যান্ড বিচ নামেও পরিচিত। নেইয়ার নদীর বিভিন্ন শাখা প্রশাখা সৃষ্টি করেছে এই ব্যাকওয়াটারের। বেশ মনমাতানো পরিবেশ। দুদিকের ঘন জঙ্গলের মাঝে পরপর বোট চলেছে পুভারের পথে। এ এক মনোমুগ্ধকর জার্নি। পাশাপাশি বোটের অল্প বয়সি ছেলেমেয়েরা দারুণ মজা করছে। আলাপুজা কোল্লামের জল-দুনিয়ার কথা কম বেশি সকলেরই জানা। কিন্তু আরব সাগর পাড়ে এই খাঁড়ি রাজ্যের কথা অনেকের কাছেই হয়তো অজানা। শোনা যায় ভাগ্য বিপর্যয়ে সিংহাসন চ্যুত হয়ে ত্রিবাঙ্কুরের রাজা মার্তণ্ড ভর্মা এই নেইয়ার নদী পাড়ের কোনও এক গ্রামে আশ্রয় নিয়ে ছিলেন।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...