শীতের রোদ গায়ে মেখে চট করে ঘুরে আসার মতো জায়গা ইটাচুনা। কয়েকটা দিন প্রাচীন ঐতিহ্য, আড়ম্বরে, রাজকীয় মেজাজে কাটাব বলে সদলে রওনা হলাম হুগলির বিখ্যাত ইটাচুনা রাজবাড়ির উদ্দেশ্যে। খন্যান স্টেশন-এ নেমে মিনিট দশেকের পথ। কলকাতা থেকে গাড়িতে আড়াই-তিন ঘন্টার মধ্যে রাজবাড়ি পৌঁছোনো সম্ভব।

গেট দিয়ে ঢুকেই নজরে পড়ল বেশ খানিকটা দূরে লাল রঙের প্রাসাদ, মাঝে সাদা কারুকার্য করা বিশাল তোরণ, ডান দিকে প্রস্ফুটিত সূর্যমুখীর দল আমাদের স্বাগত জানাল। সুসজ্জিত বাগান টপকে রিসেপশনে গিয়ে উঠলাম। এক ভদ্রলোক রাজবাড়ির ভুল ভুলাইয়া পথ পার করে আমাদের ঘর দেখিয়ে দিলেন। দেখলাম প্রতিটি ঘরের একটি নাম রয়েছে এবং নামগুলো সব পরিবারের মানুষদের নাম অনুসারে। যেমন, ছোটো বউদির ঘর, ঠাকুমার ঘর, কাকিমার ঘর ইত্যাদি। ঘরগুলো পুরোনো আসবাবে সুসজ্জিত, তবে সব রকম আধুনিক সুবিধাও রয়েছে।

ইটাচুনা নামটি যখন প্রথম শুনেছিলাম বড়োই অদ্ভুত লেগেছিল। মনে হয়েছিল এ আবার কেমন নাম, আসলে অতীতে এই স্থানে অনেক জলাশয় ছিল। সেই জলাশয়ে প্রচুর শামুক-ঝিনুক, গুগলি জন্মাত। এই জীবগুলির দেহাবশেষ গুঁড়ো করে সেই আমলে চুন তৈরি করা হতো। জলাশয় খোঁড়ার ফলে যে-মাটি উঠত, সেগুলো দিয়ে ইট তৈরি করা হতো। এই অঞ্চলে চুন ও ইটের ব্যাবসাই ছিল প্রধান জীবিকা। সেই থেকে এই অঞ্চলটি ইটাচুনা নামে পরিচিত।

স্নান সেরে খাবার টেবিলে এসে বসলাম। এবার সত্যিই নিজেদের কেমন একটা জমিদার বাড়ির সদস্য মনে হচ্ছে। সামনে রাজকীয় আয়োজন দেখে তো আমাদের চোখ প্রায় কপালে উঠল। কাঁসার বিশাল থালায় পঞ্চব্যঞ্জন সাজানো। কী নেই তাতে! শুক্তো থেকে শুরু করে পোস্ত, ডাল, ভাজা, মাছ, মাংস, ডিম, চাটনি, মিষ্টান্ন, রসগোল্লা, ফলের রেকাবি ভর্তি ফল আরও কত কি। কোনটা ছেড়ে কোনটা খাব, মনটা আনন্দে ভরে উঠল। ভোজন রসিক হলে তো কথাই নেই।

 

দুপুরের খাওয়া সেরে সবাই বিছানায় গা এলিয়ে দিল। আমার তো কিছুতেই ঘরে মন টিকছে না। দেয়ালে টাঙানো ছবিগুলো জীবন্ত হয়ে যেন আমায় হাতছানি দিল। নিঃশব্দে বেরিয়ে পড়লাম প্রাসাদোপম বাড়ির আনাচ-কানাচ দর্শনে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...