রাত ৯-৪০ মিনিটে কলকাতা-ডিব্রুগড় ট্রেনে উঠে পড়লাম লাগেজপত্তর নিয়ে। আমাদের এবারের ডেস্টিনেশন পূর্ব সিকিমের ‘সিল্করুট’ বা রেশমপথ। ট্রেন নৈহাটি ছাড়তেই আলুপরোটা আর টম্যাটো-সস সহ ডিনার সেরে যে যার নির্দিষ্ট সিটে। পরদিন নিউজলপাইগুড়ি-তে পৌঁছোতে প্রায় ২ঘন্টা  লেট। ততক্ষণে আমাদের নিতে হাজির ড্রাইভার ধীরাজ তামাং। আর দেরি না করে লাগেজ গুছিয়ে চলা শুরু। সিল্করুটের পথে জুলুকে যাওয়ার আগে আমরা একদিন থাকব পেডং শহরের মাথায়, পাহাড়ের কোলে সবুজে ছাওয়া নতুনভাবে গড়ে ওঠা অফবিট স্পট সিলারি গাঁওতে।

মহানন্দা স্যাংচুয়ারির মাঝখান দিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে চলল গাড়ি। করোনেশন ব্রিজ, সেবক ব্রিজকে পাশ কাটিয়ে দাঁড়ালাম একটি রেস্তোরাঁয় ব্রেকফাস্ট করতে। বেশ সাজানো গোছানো খাবার হোটেল। সবধরনের খাবার পরিবেশন করা হয় এখানে।

ব্রেকফাস্ট করে গাড়ি চলল তিস্তা বাজারের দিকে। হঠাৎ-ই রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে চলা তিস্তা নদী সঙ্গী হল আমাদের। কালিম্পং হয়ে আলগাড়া থেকে পেডং-এর দিকে যেতে যেতে দেখা পেলাম ধাপচাষের নক্সা আঁকা পাহাড় আর ছোটো ছোটো জনবসতির। পেডং বাজারের কিছুটা আগে গাড়ি বাঁক নিল  বাঁদিকের রাস্তায়। রাস্তাটি পাহাড়ের গা বেয়ে সোজা চলেছে সিলারি গাঁওতে। মাত্র চার কিলোমিটার পথ। এখানে এসে মনে হল আমরা যেন প্রকৃতির নিজস্ব এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থায় প্রবেশ করলাম। প্রত্যেকে গায়ে চাপালাম হালকা শীতবস্ত্র। এই চার কিমি পাথর বিছানো পথে পাহাড়ের গা বেয়ে জঙ্গলের ছায়াঘন পরিবেশে দুলতে দুলতে এগিয়ে চলেছি ক্রমশ উপরের দিকে। থামলাম সাইলেন্ট ভ্যালি দেখতে।

জায়গাটি একেবারে নিশ্চুপ, শান্ত প্রকৃতির। বিশাল বিশাল পাইনগাছগুলো একটি জায়গায় গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে। ড্রাইভার বলল– এটাই সাইলেন্ট ভ্যালি, অপূর্ব লাগে দেখতে। অবশেষে প্রায় ৬০০০ ফুট উচ্চতায় উঠে পৌঁছোলাম সিলারি গাঁওতে। আজ আমরা এখানেই নাইট স্টে করব।

হিমালয়ের কোলে সবুজ অরণ্যে ঘেরা নীল আকাশের নীচে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙঘা প্রায় সব সিজনে হাতছানি দেয় এই সিলারি গাঁও থেকে। অসাধারণ ছবির মতো সুন্দর এই গ্রাম রোমান্টিকতায় ভরা। মাত্র ২৫-৩০ ঘর বসতির নিরিবিলি এই গ্রামে দিনভর শোনা যায় হাজারো প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির। পাখির অপূর্ব এই কলকাকলি পর্যটকদের মন ভরিয়ে দেবে। সিলারি গাঁও-তে আমাদের থাকার জায়গা হেভেন ভ্যালিতে। এখানে থাকার ব্যবস্থা খুব সুন্দর। সবই হোম স্টে। লাঞ্চ সেরে পায়ে হেঁটে একটু ঘুরে নেওয়া। পাহাড়ের গায়ে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে সরু ভাঙাচোরা ট্রেকিং পথে ক্রমশ উপরে উঠতে হয়। প্রায় মিনিট ৩০ হেঁটে পৌঁছে গেলাম রামিতেদাড়া ভিউ পয়েন্টে। পাহাড়ি সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে চারপাশের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে থাকলাম আমরা। শুধু এই ভিউ পয়েন্ট থেকেই তিস্তা নদী আর কাঞ্চনজঙঘাকে একই ফ্রেমে ধরা যায়। এখানকার সূর্যাস্ত এককথায় অসাধারণ।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...