শ্যামলের জীবনটা যেন কেমন একঘেয়ে হয়ে উঠেছিল। পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না পেয়ে টিউশন করে আর কতদিন চলবে! এসব ভাবতে ভাবতে একদিন দিল্লিতে একটা ইন্টারভিউ পেয়ে গেল। দিল্লির কনটপ্লেস-এ ইন্টারভিউতে সিলেক্টও হয়ে গেল। জানতে পারল, চাকরিটা হরিয়ানার ভিওয়ানিতে। প্রথমে ভেবেছিল যাবে না। পরে ভেবে দেখল, ঘুরেই আসা যাক না। নতুন একটা জায়গা দেখেই আসা যাক। ভালো না লাগলে ফিরে আসবে নিজের রাজ্যে।
বাবা-মা ও বন্ধুদের উৎসাহে বেরিয়ে পড়ল ভিওয়ানির উদ্দেশে। প্রথমে ট্রেনে করে দিল্লি পৌঁছোল, সেখান থেকে বাসে করে নানারকম অভিজ্ঞতা নিয়ে ভিওয়ানিতে নিজের গন্তব্যস্থলে পৌঁছোতে অনেক সময় লেগে গেল। ওখানে পৌঁছে তার নামে অ্যালট করা কোয়ার্টারও পেয়ে গেল। কোয়ার্টার-এ জিনিসপত্র রেখে দেখল ঘড়িতে চারটে বেজে গেছে। দুপুরের খাওয়া অবশ্য পথে একটা ধাবাতেই করে নিয়েছিল।
অনেক দূরের জার্নি বলে বাসওয়ালারা মাঝপথে এক জায়গায় বাস থামিয়ে বলেছিল, যাদের খিদে পেয়েছে তারা এই ধাবাতেই দুপুরের খাওয়া খেয়ে নিতে পারেন। তবে সময় মাত্র ১৫ মিনিট দেওয়া হবে। তার মধ্যে খেয়ে বাসে এসে বসতে হবে। শ্যামলও সে সুযোগ ছাড়েনি। কারণ বুঝতে পেরেছিল এখন না খেলে ওখানে গিয়ে আজ লাঞ্চ কপালে নাও জুটতে পারে, তাই খাওয়াটা সেরে নিয়েছিল। তবে সে যা খাওয়া তা অন্য সময় হলে হয়তো ফ্রিতেও খেতে চাইত না। তবুও কোনও উপায় নেই ভেবে খেতেই হল!
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ভাবল এবার আশেপাশে একটু ঘুরে দেখে আসা যাক। রাতের খাবারটা কোথায় খাবে ইত্যাদি। কারণ কোম্পানি থেকে থাকার জায়গাটা ফ্রি দিয়েছিল কিন্তু ভেতরে রান্নার কোনও জায়গা ছিল না। তাছাড়া সোমবার থেকে জয়েনিং বলে রোববারে এসে পৌঁছোবার ফলে, অফিসের থেকে খোঁজও নেওয়া যাবে না। এসব ভাবতে ভাবতে বেরিয়ে পড়ল। ভাবল ফেরার পথে রাতের খাবারটাও খেয়ে ফিরবে।
কোয়ার্টার থেকে বেরোবার সময় একজনকে জিজ্ঞাসা করে জানল, তাদের এই জায়গা থেকে শহর একটু দূরেই, তাই রিকশাতেই যাওয়া ভালো। দেরি না করে একটা রিকশা নিয়ে শহরে পৌঁছে গেল। গিয়ে দেখল সেখানে বেশকিছু দোকানপাট আছে ঠিকই কিন্তু সে হিসেবে এটাকে শহর বললে একটু অপমানই করা হবে মনে হয়।
হঠাৎ নজরে পড়ল একটা দোকানে কুলফি মালাই বিক্রি হচ্ছে। লোভ সামলাতে না পেরে ঢুকে পড়ল সেখানে। কুলফিটা খেয়ে দাম দিতে গিয়ে দেখল যে, অতদূরের রিকশা ভাড়া নিয়েছে মাত্র দশ টাকা আর কুলফি নিল চল্লিশ টাকা। বেশ বুঝতে পারছিল ইচ্ছে থাকলেও এ শখ রোজ পূরণ করা যাবে না। এরপর অনেক দোকান-বাজার ঘুরে খাবারের দোকানের খোঁজে এগোতে লাগল।
হাঁটতে হাঁটতে কখন যেন লোকালয়ে গলিতে ঢুকে পড়েছিল খেয়াল নেই। হঠাৎ একটা বিকট চিৎকারে প্রায় আত্মারাম খাঁচা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জোগাড়। পরক্ষণেই দেখল কতকগুলো মযূর এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে লাফিয়ে যাচ্ছে আর ওই অদ্ভুত বিকট চিৎকার করছে। সন্ধে হয়ে গেছে তাই তারাও ফিরে যাচ্ছে তাদের বাসায়।
মনে মনে ভাবল, ঈশ্বরের কী অদ্ভুত সৃষ্টি! মযূর দেখতে এত সুন্দর কিন্তু তার আওয়াজ যে এত কর্কশ, তা না শুনলে কেউ বিশ্বাস করবে না। একসাথে প্রায় চল্লিশ-পঞ্চাশটা মযূর ডেকে ওঠাতে শ্যামল প্রথমটা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল। এ ধরনের বিকট আওয়াজ সে কখনও শোনেনি। যখন সে খাবার হোটেলে গিয়ে পৌঁছোল তখন সন্ধে হয়ে গেছে।
হোটেলে গিয়ে শুনল আজ স্পেশাল ডিশ হল, ক্ষীর। শুনেই জিভ দিয়ে জল বেরিয়ে আসছিল শ্যামলের। মনটা আনন্দে ডগমগ করে উঠল। কিন্তু এই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থাযী হল না। এই ক্ষীর খাওয়ার অভিজ্ঞতা সে কখনও-ই ভুলবে না!
ক্ষীর খেয়ে বুঝতে পারল যে, এখানে দুধের পায়েসকে ক্ষীর বলা হয়। আর সেটা দুধের পায়েসও বলা চলে না। সেটা একেবারে দুধ-ভাত ছাড়া আর কিছু নয়। প্রথম দিনই এমন ক্ষীর খাওয়াতে এখানে বাইরে খাওয়ার উৎসাহটা একটু কমে গেল।
সেখান থেকে কোয়ার্টারে ফেরার সময় থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হল। কোয়ার্টারে যখন ফিরে এল তখন বৃষ্টির গতিও অনেক বেড়ে গেছে। বৃষ্টির শাব্দিক অনুভূতিটা বরাবরই তার কাছে বেশ আনন্দময় কিন্তু আজ যেন কেমন একটা গা শিরশির করা ব্যাপার আছে বলে মনে হচ্ছে। এমনিতেই শীত পড়তে শুরু করেছে। শীতকে আরও জমিয়ে তুলতে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সুতরাং গা শিরশির করাটাই স্বাভাবিক।
ঘরে দুটো জানলা। আজ যেন কেন দুটো জানলাই বন্ধ করতে ইচ্ছে হচ্ছে শ্যামলের। দুমিনিটের ভেতরেই জানলা দুটো বন্ধ করে এসে চেয়ারে বসতেই, বারান্দার দিকের জানলাতে হঠাৎ খট করে শব্দ হল। চমকে উঠল শ্যামল। বারান্দাটা গ্রিল দিয়ে ঘেরা। ওখানে তালাও নিজে লাগিয়ে এসেছে। তাই সেখানে কেউ ঢোকার প্রশ্নই ওঠে না। এমনকী তালাটা সে বাড়ি থেকেই নিয়ে এসেছিল। নিজের তালা-ই লাগিয়েছে।
মোটা কাঠের জানলা। এমনিতেই এখন বন্ধ। তাই বৃষ্টির দিনে এমন জোরে খট করে শব্দ করাটা মোটেই স্বাভাবিক নয়। শ্যামলকে বেশি ভাবতে সময় দিল না ওপাশের কেউ। আবার খট করে শব্দ হল। শ্যামল ভাবতে লাগল, যেহেতু বারান্দাটা পুরো গ্রিল দিয়ে ঘেরা ও তালা দেওয়া, তাই গ্রিল পেরিয়ে আসা কারও-র পক্ষে সম্ভব নয়। এই দুর্ভেদ্য সুরক্ষা ভেদ করে জানলায় এসে ধাক্কা মারার কথা নয়।
শ্যামল চেঁচিয়ে উঠল কে… কে ওখানে? কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল না। জানলায় আবার খট করে আওয়াজ হল। শব্দটা ক্রমশ যেন বাড়তে শুরু করল।
( ২ )
একে তো শীতের রাত, তার ওপর এই জায়গায় সে একেবারে নতুন। ভাবল এখানে সে নতুন, কেউ হয়তো ভয় দেখানোর জন্য এসব করছে। বিছানায় শুয়ে পড়ল কিন্তু শুয়ে ঘুম আসছিল না। আওয়াজটা ক্রমশ বাড়ছিল। বিছানায় শুয়ে ঘেমে নেয়ে অস্থির হয়ে গেল সে।
অন্যদিকের জানলাটায় কেউ ধাক্কা দিলে সে অন্তত বুঝতে পারত যে, এই বৃষ্টির দিনে হয়তো কোনও আগন্তুক বাইরে দাঁড়িয়ে ধাক্কা দিচ্ছে। কিন্তু গ্রিল দিয়ে ঘেরা এই জানলাটায় কেউ ধাক্কা দেবে কি করে! কিছুতেই এ কথাটা তার মাথায় ঢুকছিল না। তাছাড়া শোওয়ার আগে তালা দিয়ে বন্ধ করে এসেছে। এসব আবোল তাবোল চিন্তা করতে করতে তার সব কিছুই যেন কেমন গুলিয়ে যেতে লাগল।
জানলাটায় ধাক্কাটা এবার থেমে থেমে আসছে। অনবরত ধাক্কা দিয়ে মানুষ যেমন ক্লান্ত হয়ে যায়, মনে হচ্ছে ওপাশের কেউ তেমনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। আসলে ওপাশে কি কেউ আছে, না পুরোটাই তার মনের ভুল! হয়তো শুধু বৃষ্টিই হচ্ছে, আসলে হয়তো জানলায় কোনও ধাক্কার শব্দ হচ্ছে না। পুরোটাই তার মনের ভুল নয়তো!
শ্যামল এগিয়ে যায় জানলার দিকে, কান খাড়া করে আওয়াজটা শোনার চেষ্টা করে। কিন্তু একি, সত্যিই তো মনে হচ্ছে কেউ কয়েক সেকেন্ড পর পর একই তালে ঠক ঠক করে চলেছে। এবার তার মনে হতে লাগল হয়তো মনের ভুলে সে গ্রিলের তালাটাই লাগাতে ভুলে গেছে আর সেই সুযোগ নিয়ে কেউ হয়তো ঢুকে পড়েছে বারান্দায়। কিন্তু এত রাতে কে হতে পারে? তবে কি চোর! আর চোর হলে সে জানলায় কেন ধাক্কা দেবে। চোর হলে তো নিঃশব্দে আসবে। জানিয়ে আসবে কেন!
শ্যামলের মাথায় নানা প্রশ্ন এসে ভিড় করতে শুরু করেছে। কেউ কি তাকে ভয় দেখানোর জন্য এসব করছে? নাকি কোনও বোবা লোক বিপদে পড়ে জানলায় খট খট আওয়াজ করছে? নাকি অন্য কোনও প্রাণী? মনে পড়ে যায়, একবার তার বাড়িতে গ্রিলের ফাঁক দিয়ে ভাম-বিড়াল ঢুকে গিয়েছিল বারান্দায়। সেরকম কিছু নয়তো?
প্রথমে ভেবেছিল দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে দেখবে। কিন্তু পরক্ষণে ভাবল না এত রাতে এই অজানা জায়গায় সেটা হয়তো ঠিক হবে না। এসব নানা অজানা আশঙ্কায় শ্যামল অনুভব করল, ওর বুকের ভেতরটা কেমন যেন হাপরের মতো ওঠানামা করছে। কোনও চোর-ডাকাত নয়তো!
চিৎকার করে সে কি লোকজন জড়ো করবে? এবার সে জোরে চেঁচিয়ে ওঠে, কে ওখানে? কিন্তু কোনও উত্তর এল না। এত রাতে জানলার শব্দ এবং নিজের ধারণা সম্বন্ধে স্পষ্ট ভাবে নিশ্চিত হতে পারল না বলেই, চিৎকার করতে তার ভীত-সন্ত্রস্ত সত্ত্বা বারণ করে দিল।
( ৩ )
এবার মনে হল বৃষ্টির তালে তালে কেউ যেন নাচছে আর তার পায়ে নূপুর ও হাতের চুড়ির আওয়াজ যেন তালে তালে বাজছে। এতে শ্যামলের মাথার ভেতরে কেমন যেন এক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে লাগল। ভেবে কূল-কিনারা পাচ্ছে না। সত্যিই কি কেউ বাইরে নাচছে, না এসব তার মনের ভুল!
এমনিতে শ্যামল খুব একটা ভয় পাওয়ার ছেলে নয়। এর আগে পাড়ায় কেউ মারা গেলে অনেক গভীর রাতেও তাকে নিয়ে দাহ করে এসেছে। সামাজিক পরোপকারে তার জুড়ি নেই। জানলার শব্দটাও থেমে গেছে নূপুরের ও হাতের চুড়ির আওয়াজের সাথে সাথে। তার মনে হচ্ছে কেউ নাচছে তার বারান্দায়, ঠিক জানলার পাশে। মাথাটা কেমন যেন বন বন করে ঘুরছে মনে হচ্ছে।
কল্পনায় সে দেখতে পেল রাজা-বাদশাদের হারেমখানার কোনও নর্তকী যেন সুযোগ পেয়ে আজ এই বারান্দায় এসে তার আসর বসিয়েছে। খালি তফাত হল, ঘরভর্তি শ্রোতা নেই। শ্রোতা শুধু একজন। আর সেটা হল সে নিজে।
ঘরের আলোটা জ্বলছে। শ্যামল আয়নাটার দিকে এগিয়ে গেল। হঠাৎ নিজের মুখ দেখতে গিয়ে চমকে উঠল। আয়নায় এক নারীমূর্তি। এ কী করে সম্ভব। পেছন ফিরে দেখল, জানলার কপাট কখন খুলে গেছে বুঝতেই পারেনি। মনে হল কোনও এক নারী মূর্তি যেন জানলা থেকে সরে গেল। অন্য জানলাটা কিন্তু বন্ধই রয়েছে। নিমেষেই ঘোর কেটে যায়। বুঝতে পারে, সে ঠিকই শুনেছে এবং দেখেছেও ঠিকই। আবার সেই নারী মূর্তি যেন তার জানলা দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। এরপর আর তার কিছুই মনে নেই।
( ৪ )
যখন জেগে উঠল তখন বুঝতে পারল, সে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। তখনও বারান্দার দিকের জানলাটা হাট করে খোলা। অথচ অন্যদিকের জানলাটা এখনও বন্ধই রয়েছে। রাতের ঘটনাটা তাহলে কি শুধুই তার মনের ভুল নাকি সত্যি!
গতকাল রাতের ঘটনাটা মনে করতেই আবার যেন কেমন একটা ভয় এসে বাসা বাঁধছিল। জানলা দিয়ে দেখা যাচ্ছে বাইরে ভোরের আলো ফুটে উঠেছে। তাই মনেও একটু সাহস পেল। বাইরে থেকে কিছু লোকের কোলাহলও এসে কানে পৌঁছোল।
শ্যামল ধীর পায়ে বারান্দায় পা রাখল। দেখল গ্রিলের গেটে যে-তালাটা গতকাল রাতে লাগিয়েছিল সেটা এখনও বন্ধই আছে। এটা দেখে ভাবল, তাহলে গতকালের ঘটনাটা হয়তো মনের ভুল হতে পারে। কিন্তু তার এই ধারণা বেশিক্ষণ স্থাযী হল না, নিমেষেই বদলে গেল। বারান্দায় কিছু পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে গিয়ে নীচে তাকিয়ে দেখল একটা গলার চেন ও একটা লকেট পড়ে আছে।
এগুলো দেখার পর শ্যামলের মন থেকে অনেকটাই বিভ্রান্তি কেটে গেল। কারণ সে নিশ্চিত যে গতকাল কেউ এখানে এসেছিল। তবে ওই লকেট ও গলার চেনটা তোলার সাহস তার হল না। কেউ যে এসেছিল তার প্রমাণ তার সামনে হাজির রয়েছে। ভাবল ব্যাপারটা প্রতিবেশীদের কাউকে জানালে হয়তো কিছু হদিশ পাওয়া যেতে পারে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাইরে এসে দেখল পাশের কোয়ার্টারের সামনে বেশ কিছু লোক জড়ো হয়ে কী সব যেন আলোচনা করছে।
( ৫ )
সেখানে পৌঁছে যা শুনল তা শুনে একেবারে হতভম্ব হয়ে গেল শ্যামল। শুনল গতকাল পাশের বাড়ির মেয়েটি বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর আত্মহত্যা করেছে। আর আশেপাশের অনেক বাড়িতেই ওর উপস্থিতি অনুভব করেছে প্রতিবেশীরা। প্রায় একই রকম ভাবে যেরকম শ্যামল অনুভব করেছে।
প্রতিবেশীদের আলোচনার বিষয়ে একটা কথা সবাই বলছিল যে, গতকাল রাতে তাদের বাড়িতে কেউ এসেছিল। কিন্তু শ্যামল লক্ষ্য করল সবাই অনেক কথা বললেও তাদের বাড়িতে কেউ গলার চেন ও লকেট পেয়েছে বলে বলল না। ব্যাপারটা ভেবেই রাতের সেই অনুভূতি যেন আবার শীতল হয়ে নেমে গেল শ্যামলের মেরুদণ্ড বেয়ে। ভয়ে ভাবনায় কেমন যেন একটা অস্বস্তি অনুভব করতে শুরু করল শ্যামল।
শ্যামলের খালি মনে হতে লাগল, আবার যদি রহস্যমযী সেই মেয়েটি রাতে তার কাছ থেকে ফেলে যাওয়া লকেট ও চেনটা ফেরত চাইতে আসে, তখন কী হবে?