ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ানোর আগে এর সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। এই ফল তৈরি হয় সাধারণ জলীয় ফল থেকেই। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অথবা প্রাকৃতিক উপায়ে ফলগুলোর থেকে জল বের করে এগুলোকে শুকোনো হয়। শুকোনোর ফলে এতে শুধু পুষ্টিদ্রব্যগুলোই থাকে। সাধারণ ফলে জলীয় অংশ থাকায় তা বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। ড্রাই ফ্রুটস-এর ক্ষেত্রে তেমন কোনও সমস্যাই নেই। এগুলো যতদিন ইচ্ছে সংরক্ষণ করা যায়।
পুষ্টিতে ঠাসা ড্রাই ফ্রুটস নানা ভাবে কাজে লাগানো যায়।। মিষ্টিতে ব্যবহার করলে তা মিষ্টির স্বাদ বহু গুনে বাড়িয়ে দেয়। ছোটো বড়ো সকলেই সমান ভালোবাসেন এই ধরনের মিষ্টি। আজ আমরা এই রেসিপির দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।
পেস্তা-কাজু চকোবার
উপকরণ – ৩বড়ো চামচ পেস্তা,১ কাপ খোয়াক্ষীর, ১/৪ কাপ চিনিগুঁড়ো,১ বড়ো চামচ কোকো পাউডার, ১ বড়ো চামচ কাজুগুঁড়ো,২ ফোঁটা কেওড়া জল, অল্প চকো চিপ্স (হোয়াইট ও ব্রাউন)।
প্রণালী -খোয়াক্ষীর চটকে একটি ননস্টিক প্যানে ঢেলে দিন। চিনি দিয়ে ৬-৭ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। মিশ্রণটা ঠান্ডা হলে এতে কেওড়া জল ছড়ান।২ভাগে মিশ্রণটা ভাগ করুন। ১ বড়ো চামচ পেস্তা, মিক্সিতে পেস্ট করে নিন।১ বড়ো চামচ পেস্তা, কুচি করে নিন। অর্ধেক খোয়াক্ষীরের মিশ্রণে পেস্তাবাটা ও কুচোনো পেস্তা মেশান। অন্য অর্ধেকে কোকো পাউডার এবং কাজুগুঁড়ো।
পেস্তা মেশানো মিশ্রণ গোল করে বেলে নিন। এর উপর কোকো মেশানো মিশ্রণ রেখে একই ভাবে গোলাকারে বেলে নিন। এবার দুটিকে একসঙ্গে রোল করুন এবং ছুরি দিয়ে স্লাইস কেটে নিন। ফ্রিজে সেট হতে দিন। বের করে উপরে চকো চিপ্স সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
ড্রাইফ্রুট পঞ্জিরি
উপকরণ – ২০গ্রাম গঁদ (চিনির আঠালো ডেলা),২০ গ্রাম বাদাম,২০ গ্রাম চিরঞ্জি,২০ গ্রাম নারকেলকোরা, ৩০ গ্রাম মাখানা, ১ বড়ো চামচ পেস্তা, ২০গ্রাম কিশমিশ, ১/২ ছোটো চামচ ছোটোএলাচগুঁড়ো, ১ ছোটো চামচ জিরে, ১/২ ছোটো চামচ জোয়ান, চিনিগুঁড়ো প্রয়োজন মতো, ১০০ গ্রাম দেশি ঘি।
প্রণালী – অর্ধেক ঘি কড়াইতে দিয়ে গঁদটা নাড়াচাড়া করুন। বাকি ঘি দিয়ে ঢিমে আঁচে মাখানা ভেজে নিন। ওই ঘিয়ে বাদাম, চিরঞ্জি ও পেস্তাও ভেজে নিন। বাদাম-পেস্তা কুচি করে নিন। ঘিয়ে এবার জিরে আর জোয়ান ফোড়ন দিন। নারকেলকোরা দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এবার কিশমিশ দিয়ে বাকি উপকরণ মিশিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে চিনিগুঁড়ো ও ছোটো এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে ভালো ভাবে মিক্স করুন। ড্রাইফ্রুট পঞ্জিরি তৈরি।
খেজুর-বাদাম ক্ষীর
উপকরণ -৬টা শুকনো খেজুর, ৭টা বাদাম,২টোকাজু, ৪টে পেস্তা, ৫-৬টা কেসরের শিরা, চিনি স্বাদমতো, ১/৪ ছোটো চামচ এলাচগুঁড়ো, ৩০ এমএল দুধ।
প্রণালী – বাদাম আর খেজুর সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন, খেজুরের বীজ বের করে নিন। বাদামের খোসা ছাড়ান। অল্প দুধের সঙ্গে সমস্ত উপকরণ মিক্সিতে পিষে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। বাকি দুধ ফুটিয়ে ঢিমে আঁচে ঘন করে নিন। এই মিশ্রণ ঘন হওয়া দুধে গুলে নিন। মনে রাখবেন ক্ষীর যেন বেশি পাতলা না হয়, আবার বেশি গাঢ়ও না হয়। এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে, উপরে কেসর দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা ক্ষীর সার্ভ করুন।