রুক্ষ চুলের সমস্যায় অনেকেই জর্জরিত। স্বাভাবিক ভাবে যাদের চুল শুষ্ক তারা তো মুশকিলে পড়েনই, আর দূষণ প্রভৃতি কারণে যাদের চুল নিয়মিত লালিত্য হারাচ্ছে, চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালেও। তাই প্রত্যেকদিন চুলের যত্ন নেওয়া একান্ত জরুরি।
শ্যাম্পুর আগে চুলে হট অয়েল মাসাজ করাটা অভ্যাসে নিয়ে আসুন। শ্যাম্পু করার আগের রাতে করুন এই প্রক্রিয়া। এছাড়া সপ্তাহে একদিন অন্তত ব্যবহার করুন হেয়ার মাস্ক।
কী কী লাগবে : অ্যাভোকাডো এবং অলিভ অয়েল হল চুলের রক্ষাকবচ। তৈলাক্ত চুলের জন্য ব্যবহার করতে পারেন, পাকা কলা, ডিম এবং কমলালেবুর রস মেশানো প্যাক। স্বাভাবিক চুলের জন্য দুধ, নারকেল তেল এবং অ্যালোভেরা মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এর ফলে চুলের ফ্রিজি ভাব দূর হবে। চুল হবে ম্যানেজেবল এবং পুষ্টিতে ভরপুর।
শ্যাম্পু বিষয়ে সচেতন : যে-শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন, তা থেকে চুল রুক্ষ হচ্ছে না তো? প্রয়োজনে শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড চেঞ্জ করে দেখুন। আপনার চুলের ধরন অনুযাযী শ্যাম্পু বাছুন। ক্ল্যারিফাইং শ্যাম্পু কয়েক মাস চুলে ব্যবহার করবেন না। পরিবর্তে স্মুদনিং-এ সহায়তা করবে এমন শ্যাম্পু বেছে নিন। তেলের গুণ থাকলে তো আরও ভালো। খেয়াল রাখবেন শ্যাম্পু যেন সালফেট-মুক্ত হয়। শ্যাম্পু ব্যবহারের পরেই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
কী কী করবেন না
- হিটিং টুলস, যেমন ড্রায়ার, হট কার্লস প্রভৃতি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন
- খুব শক্ত করে চুল বাঁধবেন না
- অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট চুলে ব্যবহার করবেন না
- হেয়ার কালার করলে চুলের অযত্ন করবেন না।
খুসকি সারিয়ে ফেলুন
খুসকির সমস্যায় চুল ঝরে পড়তে থাকে। তাই স্ক্যাল্প খুসকিমুক্ত রাখুন। অনেকে ভাবেন ঘনঘন শ্যাম্পু করলেই বুঝি খুসকি থেকে মুক্তি পাবেন। এতে হিতে বিপরীত হয়। পার্লারে আজকাল খুসকি সারানোর জন্য স্পেশাল হেয়ার ট্রিটমেন্ট হয়। এছাড়া সমস্যা যদি খুব বেশি হয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডার্মাটোলজিস্ট-এর সহায়তা নিন। চুলে শ্যাম্পু, কন্ডিশনিং এবং সেরাম মাস্ট।
তেলে চুল তাজা
চুলকে পুষ্টি জোগাতে অর্গ্যানিক অয়েলের কোনও জুড়ি নেই। তাই চুল অতিরিক্ত রুক্ষ হলে, দুদিন অন্তর ঈষদুষ্ণ তেল মালিশ করুন চুলে। এতে রুক্ষতা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সেইসঙ্গে চুলের জেল্লাও বাড়বে।