কোনও বিশেষ ধরনের চেহারা হলে তবেই যে শাড়ি পরতে পারবেন, তেমন কোনও নিয়মে আমরা মোটেই বিশ্বাস করি না। যে কোনও পোশাক festive dress up যে কেউ পরতে পারেন, কিন্তু তা স্বচ্ছন্দে ক্যারি করতে হবে – তবেই দেখতে ভালো লাগবে। আর- পাঁচজনের থেকে প্রশংসা পাওয়াটাই জীবনের উদ্দেশ্য হতে পারে না, তবে তা নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। আর আত্মবিশ্বাস একবার বেড়ে গেলে আপনি আরও বেশি বেশি করে শাড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন!
তবে শাড়ি পরার আগে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখুন। প্রথমত, আপনার শরীরের গড়ন অনুযায়ী শাড়ি বাছুন। লম্বা-খাটো, ভারী-পাতলা যে কোনও গড়নের মহিলাই শাড়ি পরতে পারেন। তবে যদি খুব মোটা সুতোর ভারী শাড়ি কেনেন এবং আপনার উচ্চতা খাটো হয়, তা হলে তা ক্যারি করতে অসুবিধে হবে। অনেকেই ভাবেন ভারী চেহারায় পাতলা শাড়ি পরলেই রোগা দেখাবে। কিন্তু চেহারা যাদের একটু ভারীর দিকে, তারা পাতলা শিফন পরলে মেদের স্তর স্পষ্ট বোঝা যায়।তবে তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসের অভাব না হলে স্বচ্ছন্দে পরুন।
শাড়ির স্টাইলিং নিয়ে যে অজস্র ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব, সে কথা আমরা আগেও বলেছি। খুব সাধারণ একটা কোলাপুরি চপ্পল আর নটেড লাল শিফনকেও ক্রপ টপের সঙ্গে দিব্যি পরা যায়, শুধু যদি ক্যারি করার আত্মবিশ্বাস থাকে। এতে লুকে অন্য মাত্রা যোগ হবে আপনার সাজে। সকলে আপনার ড্রেসিং সেন্স-এর প্রশংসা না করে পারবে না।
তবে এই ধরনের পরীক্ষা করলে কিন্তু পোশাকের দিকেই আকর্ষণটা রাখতে হবে, একগাদা গয়না বা মেকআপ করে সেটা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। সিম্পল লুক তৈরি করুন। চুলটা স্বাভাবিক থাক, যাঁদের লম্বা চুল, তাঁরা পিছনে একটা খোঁপা বেঁধে নিতে পারেন। না হলে ফ্ল্যাট ব্রাশ দিয়ে ভালো করে আঁচড়ে দিন, তা হলেই হবে। মেকআপের ক্ষেত্রে হালকা ফাউন্ডেশন লাগান, চোখে ব্যবহার করুন অল্প আইলাইনার আর প্রচুর মাসকারা। কানে ছোটো দুল, হাতে একটা ঘড়ি পরলেই সাজ সম্পূর্ণ হবে। আর নিন ম্যাচিং ব্যাগ।
আসলে শাড়ির লুক পালটে দিতে পারে মানানসই ব্লাউজ়। আজকাল ব্লাউজ নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। টি শার্ট দিয়েও শাড়ি পরা চলছে। তবে ব্লাউজ় আর শাড়ির মধ্যে একটা ব্যালান্স যেন থাকে, তা দেখতে হবে অবশ্যই। ব্লাউজ়ের ফিটিং যেন ভালো হয়, তা দেখে নেবেন। বিশেষ করে অন্তর্বাসের স্ট্র্যাপ যেন না বেরিয়ে থাকে ব্লাউজ়ের ফাঁক দিয়ে, সেটা কদাকার লাগে। মানানসই পেটিকোটও রাখুন হাতের কাছে। সেটা ছাড়াও লুকটা যথাযথভাবে ফুটবে না।
পুজোর দিনগুলিতে শাড়ি পরবেন ভেবে থাকলে, আগের দিন রাতে শাড়িটা গুছিয়ে নিন। আঁচলটা প্লিট দিয়ে পিন করে রাখুন, একইভাবে কুঁচিও দিয়ে রাখা যায়। পরদিন ঝটপট পরা হয়ে যাবে। শাড়ির সঙ্গে হিল জুতো পরতে চান? তা হলে শাড়ি পরার আগেই জুতোটা পরে নিন – তাতে ফলটা ঠিকভাবে বসবে, জুতো বেরিয়ে থাকবে না শাড়ির নিচ দিয়ে।
শাড়িতে ফল লাগানোর ব্যাপারে কার্পণ্য করবেন না। একমাত্র ফলের প্রভাবেই শাড়ির কুঁচিটা দেখতে সুন্দর লাগবে। হাতের কাছে অ্যাকসেসরিজও রাখুন। খুব সিম্পল শাড়িকে অনন্য করে তোলা যায় জমকালো কানের দুল বা গলার হার দিয়ে। আবার শাড়ি বা ব্লাউজটি যদি নজরকাড়ার মতো সুন্দর হয়, তা হলে অ্যাকসেসরিজ়ের দিকে যাওয়ারই দরকার নেই, স্রেফ গাঢ় কোনও লিপ কালার বা আই মেকআপ ব্যবহার করেই দারুণ লুক তৈরি করে নিতে পারেন!
আসলে সাজের ব্যাপারটাই হল নিজের সৌন্দর্যবোধের উপর নির্ভরশীল।আপনি নিজেই তৈরি করতে পারেন নিজের festive dress up – এ স্টাইল স্টেটমেন্ট। তারকারা যেভাবে তৈরি করে নেন তাদের নিজস্ব ফ্যাশন।