নিয়মিত ওয়্যাক্সিং করানোর জন্য কিছুদিন ধরে খেয়াল করছি আমার আন্ডার আর্ম-এর স্কিন ক্রমশ কালো হয়ে যাচ্ছে Beauty Problems ফলে স্লিভলেস পরার পর দেখতে খুব বিশ্রী লাগছে।
আমার বয়স ৩০ বছর। স্লিভলেস পোশাক পরতে খুব ভলোবাসি তাই নিয়মিত ওয়্যাক্সিং-ও করাতে হয় আমাকে। কিছুদিন ধরে খেয়াল করছি আমার Under Arm-এর স্কিন ক্রমশ কালো হয়ে যাচ্ছে ফলে Beauty Problems স্লিভলেস পরার কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলছি। এই সমস্যার সমাধান কী? Black Under Arms -এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাব কী করে, দয়া করে জানান৷
সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিয়মিত ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ত্বকের অতিরিক্ত লোম আমাদের সৌন্দর্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।বিশেষ করে যারা স্লিভলেস পোশাক পরতে বেশি পছন্দ করেন, তাদের আন্ডার আর্মস পরিচ্ছন্ন রাখা বিশেষ ভাবে জরুরি৷ তাই প্রয়োজন হয়ে পড়ে ওয়্যাক্সিং বা শেভিংয়ের। কিন্তু অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করে, ত্বকের জন্য কোনটা ভালো— ওয়্যাক্সিং না শেভিং?
শেভিংয়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, র্যাশ বের হয়, রোমও ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকে। ওয়্যাক্সিং করলে গোড়া থেকে রোম উঠে আসে। ফলে কয়েক সপ্তাহ ত্বক থাকে রোমহীন, কোমল। আবার ওয়্যাক্সিং করলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে, কালচে ছোপ পড়তে পারে। নষ্ট হয়ে যেতে পারে ত্বকের নমনীয়তা।এই সমস্যা বেশি হয় Under arms -এর ক্ষেত্রে৷তার কারণ আন্ডার আর্মের স্কিন সেনসিটিভ হয়।
আন্ডার আর্ম-এর ত্বক ফরসা করতে বেসনের মধ্যে পোস্ত এবং অ্যালোভেরা পাল্প মিশিয়ে রোজ আন্ডার আর্মে স্ক্রাব করুন। অ্যালোভেরা এবং বেসনের নিয়মিত ব্যবহারে কালো ভাব অনেকটাই দূর হবে। এর সঙ্গে কাঁচা পেঁপের টুকরো নিয়ে আন্ডার আর্মে ঘষতে পারেন। পেঁপের মধ্যে পেপসিন নামে এক ধরনের এনজাইম পাওয়া যায় যেটা রং ফরসা করতে সাহায্য করে।
কালো ভাব দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায়গুলির সঙ্গে ক্লিনিকাল পদ্ধতিও ট্রাই করে দেখতে পারেন। ২০ দিনে অন্তত একবার ব্লিচ করাতে পারেন। ব্লিচে যেমন ট্যানিং অনেকটা কম হয় তেমনি ত্বকও অনেক সফট হয়।
আগেই বলেছি, আন্ডার আর্মের স্কিন সেনসিটিভ হয়। সুতরাং সেই ক্ষেত্রে খুব মাইল্ড ব্লিচ ব্যবহার করা উচিত। অক্সি ব্লিচ সেনসিটিভ স্কিনের জন্য উপযুক্ত এবং ত্বকে একটা গ্লো নিয়ে আসতে সাহায্য করে। মিল্ক ব্লিচও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য ভালো এবং এটি ত্বককে নরমও রাখে। প্রোটিন ব্লিচ ত্বকে পুষ্টি জুগিয়ে ত্বককে রিজুভিনেট করে তোলে।