সামনেই বিয়েবাড়ি অথবা কোনও অনুষ্ঠান রয়েছে? এদিকে আপনি দিশাহারা কীভাবে অল্প সময়ে ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে, হয়ে উঠবেন মোহময়ী! চিন্তা নেই, Skin care tips -এর সহায়তায় সব সমাধান আপনি আপনার বাড়িতেই পেয়ে যাবেন৷ জেনে নিন কী উপায়ে নিজের যত্ন নেবেন৷ পরপর কয়েকটি দিন কী রূপচর্চা করবেন? তবে মনে রাখবেন, Beauty and Skin care tips পড়ে শুধু উপর উপর ত্বকের যত্ন নিলেই হবে না৷ সঙ্গে এই খাবারগুলিও খান৷ ত্বকে আসবে Instant glow.
লেবু
বয়স কমাতে চাইছেন? সালাডে লেবুর রস বা খাওয়ার পরে এক গেলাস লেবুর জল আপনার মুখ থেকে বয়সের দাগছোপ সফল ভাবে মুছে দিতে পারে৷ লেবুর ভিটামিন সি আর অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস-এর গুণ শুধু হজমশক্তিকেই সাহায্য করে না, উপরন্তু ত্বকের বলিরেখা ও শুষ্কভাবও কমায় যা ত্বক বয়স্ক দেখানোর দুটি মূল কারণ৷
ঘি
আপনার বাড়িতে তৈরি অথবা ভালোমানের অর্গানিক ঘি নানারকম পুষ্টিগুণে ভরপুর৷ ঘি ও তার সমস্ত জরুরি ফ্যাটি অ্যাসিড হজমে সাহায্য করা থেকে শুরু করে ত্বক আর্দ্র ও উজ্জ্বল রাখতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যরক্ষায় সাহায্য করে৷
আমন্ড
ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস্-এর ভান্ডার আমন্ড৷ চটজলদি সুন্দর হয়ে উঠতে ব্যাগে সারাক্ষণ রেখে দিন আমন্ডের মতো ম্যাজিক খাদ্য!
ডাবের জল ও শাঁস
অনেকেই মনে করেন ডাবের শাঁস ওজন বাড়িয়ে দেয়৷ কিন্তু এই ধারণা ভুল৷ ডাবের শাঁস বরং বিপাকীয় ক্রিয়া জোরদার করে তুলে ওজন কমাতেই সাহায্য করে৷ ডাবের অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস্ টিশুর ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে তুলে ত্বক সুস্থ রাখে৷ ডাবের জল শরীরের আর্দ্রতা ধরে রেখে আপনাকে উজ্জ্বল ত্বক উপহার দেয়৷ এমনকী, বয়সের দাগছোপ দূরে রাখতেও ডাবের জল খুবই কাজের!
ঠোঁটের গোলাপি রং বজায় রাখুন
আপনার ঠোঁট যদি ডার্ক হয় বা ঠোঁটে পিগমেনটেশন থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ডায়েট ঠিক নয়। এর জন্য দরকার টম্যাটো খাওয়া। টম্যাটো-তে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এর গুণ যা ঠোঁটের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকও ঠিক রাখে। আখরোটে ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা কোলোজেন উৎপাদন বাড়ায়। এতে ত্বকের ইলাস্টিসিটি ইমপ্রুভ করবে। আখরোট স্ক্রাব ঠোঁটে লাগিয়ে ডেড স্কিন এবং ডালনেস দূর করা যেতে পারে।
ত্বকচর্চায় রাতারাতি সুন্দর
টমেটো– মুখের ডার্ক স্পট মেলাতে গেলে টমেটো মাখলে বেশ কাজ দেবে। দৈনিক ডেড স্কিন মারতেও টমেটো খুব উপকারী।
গ্রিন টি– মন খুশি থাকলে তার ছাপ মুখে পড়তে বাধ্য। দেহ হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল এবং গ্রিন টি খান।
আলু– এই সবজি খুব বেশি খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আলুর রস যদি মুখে মেখে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন, ঘুম থেকে উঠে পরের সকালে মুখটা ধুয়ে নিন। ত্বকের জল ধরে রাখতে সাহায্য করবে আলুর রস। সতেজ লাগবে সারা দিন।
পেঁপে- এতে প্রচুর পরিমাণে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড রয়েছে। মুখে মেচেতা থাকলে পেপে মাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়। পাপাইন উৎসেচক পিগমেন্টেশন দূর করতে সাহায্য করে। পেপে স্ম্যাশ করে থকথকে পেস্ট বানিয়ে ২০ মিনিট মতো মুখে লাগিয়ে রেখে তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
দই– ড্রাই স্কিন অর্থাৎ শুষ্ক ত্বকে দই খুব উপকারী। দইয়ের সঙ্গে মধু, বেসন আর হলুদ দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ১০ থেকে ২০ মিনিট মুখে মেখে তারপর ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বক একেবারে বাচ্চাদের মত সতেজ লাগবে।
মধু– সেনসিটিভ স্কিনে মধু খুব কার্যকর। অধিকাংশ প্রসাধনীতে মধু ব্যবহার করা হয়। দারচিনি আর মধুর মিশ্রণ মুখে মাখলে মুখের দাগ ছোপ দূর হয়। ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে মধুর তুলনা হয় না।