ডাল, প্রোটিন প্রধান খাদ্যশস্য যা কিনা প্রতিটি মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় এবং উপকারিও। এতে প্রোটিনের পরিমাণ শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগ এবং অত্যধিক লাইসিন থাকায় ডালকে গরিবের আমিষও বলা হয়ে থাকে। প্রোটিন ছাড়াও ডালে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে শর্করা, চর্বি ও খনিজ লবণ। রোজের রান্না থেকে স্বাদে ভিন্ন দুটি Dal Recipe এখানে শেয়ার করা হল যা নিশ্চয়ই আপনাদের পছন্দের তালিকায় স্থান পাবে।

ডাল ডিম কারি

উপকরণ :

৮টি ডিম, দেড় কাপ ছোলার ডাল, ১টি বড় পেঁয়াজ কুচি করা, ২ চা চামচ আদা বাটা, ১ চা চামচ, ১ চা চামচ হলুদগুঁড়ো, ১ চা চামচ লংকাগুঁড়ো, ২ চা চামচ ধনেগুঁড়ো, ২ চা চামচ জিরেগুঁড়ো, ১টি তেজপাতা, ১ চা চামচ চিনি, ২ বড় চামচ সাদা তেল, ২ টেবিল চামচ ঘি, ১ চা চামচ জিরে ভাজার গুঁড়ো, ১/২ চামচ দারচিনিগুঁড়ো, লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি :

৫ কাপ জলে ছোলার ডালটা সেদ্ধ করুন। ডিম নরম করে সেদ্ধ করুন। তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি, তেজপাতা ও দুটি কাঁচা লংকা দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন। অর্ধেক চা চামচ জিরে ভাজার গুঁড়ো, দারচিনি, অন্যান্য মশলা এর মধ্যে দিয়ে অল্প নাড়াচাড়া করে সামান্য জল কড়াইতে দিয়ে মশলাগুলো কষতে থাকুন। তেল ছাড়তে আরম্ভ করলে ডাল, লবণ ও চিনি দিয়ে অল্প কষিয়ে ডিম ও ৪টি কাঁচা লংকা কড়াইতে দিয়ে ঢেকে ২-৩ মিনিট রান্না করুন। বেশি ঘন হলে ১-২ কাপ জল দিন। ফুটে উঠলে ২ টেবিল চামচ ঘি, বাকি জিরে ভাজার গুঁড়ো এবং দারচিনির গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মুসুর ডালের দো-পেঁয়াজা

উপকরণ :

১ কাপ মুসুর ডাল, ১টি বড় পেঁয়াজ কুচি করা, ১ চা চামচ রসুনবাটা, ১/২ চামচ হলুদগুঁড়ো, ১/২ চামচ লংকাগুঁড়ো, ২-৩টি কাঁচা লংকা, নুন পরিমাণমতো, ২ বড় চামচ সরষে তেল, দেড় কাপ জল।

প্রণালী :
প্রথমে মুসুর ডাল ঘন্টা খানেক ভিজিয়ে রেখে নরম করে নিতে হবে। কড়াইতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ, রসুন এবং কাঁচা লংকা দিয়ে ভাজতে থাকুন। অল্প নুন দিয়ে দিন কড়াইতে। পেঁয়াজের রং হালকা বাদামি হয়ে আসলে তাতে মুসুর ডাল দিয়ে দিন। মুসুর ডাল ভালো করে মিশিয়ে কয়েক মিনিট মশলার সঙ্গে নাড়তে থাকুন এবং এর পর হলুদ ও লংকাগুঁড়ো দিয়ে দিন। মুসুর ডালের রং হলুদ হয়ে যাবে। এবার দেড় কাপ জল দিয়ে দিন এবং আঁচ বাড়িয়ে ফুটতে দিন। মাঝে মাঝে হালকা নাড়িয়ে নিতে হবে নয়তো কড়াইয়ের তলায় ডাল লেগে ধরবে। বেশি নেড়ে আবার ডাল ঘেঁটে ফেলবেন না। জল কমে একটা পর্যায়ে ডাল অনেকটা শুকনো হয়ে আসবে। কতটা ঘন রাখবেন সেটা আপনার ইচ্ছার উপর। নুন চেখে দেখুন। লাগলে প্রয়োজনমতো দিয়ে দিন। পুরো শুকিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। অল্প জল থাকতে থাকতে নামিয়ে ফেলুন। আপনার ডাল দো-পেঁয়াজা পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। সামান্য ধনেপাতা কুচিয়ে উপরে ছড়িয়ে দিন, দেখতে সুন্দর এবং আরও সুস্বাদু হবে।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...