শিশুর বুদ্ধিমত্তা বিচার :

–    আপনার ছোট্ট বাচ্চাটির সঙ্গে খেলার সময়ে, কয়েকটা কাজ বাছাই করে বের করে নিন। তাদেরও কিছু করতে দিন। যেমন– পাজল সলভ্ করান, একটা গান গেয়ে শোনাতে বলুন, একটা ছবি আঁকান বা একটা গল্প বলান। প্রত্যেকবারই একই কাজের পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন নেই। কিন্তু প্রতিবারই নতুন কিছু করতে দিন এবং দুটি বা তিনটির পুনরাবৃত্তি করুন।

–    অতি দ্রুত, আপনার ছেলে বা মেয়ে কীসে ইচ্ছুক, তা আপনার সামনে চলে আসবে। তার এই ইচ্ছের Talent মধ্য দিয়েই শিক্ষার প্রণালী খুঁজে পাবেন। এর ফলে আপনি এই কাজগুলির সঙ্গে আপনার শিশুর আইকিউ-এর সংমিশ্রণ খুঁজে পাবেন।

নানা কাজের মধ্যে নিজের সন্তানকে নিয়োজিত করুন। অবশ্যই এই কাজগুলি যেন তাদের পছন্দমতো হয় এবং তারা করতে আগ্রহী হয়। একাধিক অ্যাক্টিভিটির সাহায্যে তার প্রতিভার Talent স্ফূরণ ঘটতে পারে, তাতে তাকে সাহায্য করুন। এর ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার সন্তানের অবিরাম সাফল্য, উৎসাহ ও আনন্দ টের পাবেন। নির্দিষ্ট উচ্চ আইকিউ-এর এটি একটি ইঙ্গিত।

অভিভাবকদের জন্য:

বুঝতে চেষ্টা করুন যে আইকিউ সবসময় স্থির নয়। লেখাপড়ায় সাধারণ বা নিম্নমানের হলেও তাদের সামনে অসংখ্য পছন্দসই পথ খোলা রয়েছে। আমরা প্রত্যেকেই আট প্রকার আইকিউ আশীর্বাদ স্বরূপ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পেয়েছি। এগুলি হল– ভাষাগত, আঙ্কিক, দৃশ্যগত, শারীরিক, গতিশীল, সাঙ্গীতিক, পারস্পরিক, স্বাভাবিক এবং ব্যক্তিগত বুদ্ধি বা আইকিউ।

আপনার সন্তানকে, আত্মমর্যাদা গঠন করে তা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করুন। প্রশংসা ও স্নেহশীলতার মাধ্যমে যে-কোনও সদর্থক পরিবর্তন আসতে পারে।

–    খারাপ ফল করার সঠিক কারণ খুঁজে বের করুন এবং এভাবেই তাকে ভালো ফল করতে শেখান।

–    আপনার সন্তান সবচেয়ে ভালো কী করতে পারে, সে বিষয়ে তাদের সাহস যোগান। সাধারণমাত্রায় তারা কী করতে পারে সেদিকে বেশি গুরুত্ব দেবেন না।

–    ছেলে বা মেয়েকে সাবলম্বি করে তুলতে, যত সহজে বিষয়টি তাদেরকে শেখানো যায়, সেই সহজ শিক্ষা পদ্ধতি অবলম্বন করুন। এর ফলে সে সহজেই এই শিক্ষাপদ্ধতি ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগও করতে পারবে।

ছেলেমেয়ের মেধা Talent বাড়ানো এখন আর কোনও কঠিন কাজ নয়। তাদের সঙ্গে থাকুন, এগিয়ে চলতে সাহায্য করুন।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...