কেউ কেউ সেবার কাজ করার সময় আপামর মানুষের কাছে তা বিজ্ঞাপিত করেন, আবার কেউ কেউ কাজ করেন নীরবে৷সেবার কাজে ব্রতী হয়ে এভাবেই দুঃস্থ শিশুদের জন্য অভিনব উদ্যোগ নিলেন গায়ক অরিজিৎ সিং। জিয়াগঞ্জে এমন পরিবারও আছে, যাদের সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই যে, পরিবারের ছোটোদের আলাদা করে ইংরেজি পড়ানোর জন্য গৃহশিক্ষক রাখবেন। সেসব দুঃস্থ পড়ুয়াদের কথা ভেবেই এবার তাদের বিনামূল্যে ইংরেজি শেখার সুযোগ করে দিলেন Arijit Singh।

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জেই কেটেছে যে ছেলেটার, সেই অরিজিৎ আজ মুম্বইয়ের পয়লা নম্বর গায়ক। গত কয়েক বছর ধরেই শুধু বলিউডের প্রযোজক-পরিচালকরাই যে অরিজিৎ সিং-কে তাঁদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রেখেছেন, তা নয়, তিনি বিরাজ করছেন ভারত তথা বিশ্বের অসংখ্য অনুরাগীর মনে। আর্থিক ভাবে এই মুহুর্তে যথেষ্টই স্বচ্ছল অরিজিৎ। মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। আসমুদ্র হিমাচল তাঁর সুরের মূর্ছনায় মোহিত, কিন্তু সেই গায়কের জীবনযাপনে নেই আলাদা কোনও দেখনদারি। নিজেকে সেলিব্রিটি ভেবে অযথা কোনও সীমারেখা টানেননি এই গায়ক। আজও  জিয়াগঞ্জে গেলে, সাধারণ স্কুটি চড়ে ঘোরেন। বন্ধুদের সঙ্গে চা খান। তারকাকে এমনভাবে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত জিয়াগঞ্জের মানুষ৷

অরিজিৎও ভোলেননি অদের আন্তরিকতা৷ তাই অনুভব করেছেন জিয়াগঞ্জের সমাজে আধুনিকীকরণের ছোঁয়া লাগলেও পঠনপাঠনে পছন্দের বিষয় হিসেবে ইংরেজি এখনও অনেকটাই পিছিয়ে। ফলে মুর্শিদাবাদের পড়ুয়ারা ইংরেজিতে অনগ্রসর। যার ফলে ভবিষ্যতের শিক্ষাঙ্গণে ভালো ফল করতে পারছে না এই শিক্ষার্থীরা।

সম্প্রতি এক নার্সিং কলেজে দেখা করতে গিয়েছিলেন অরিজিৎ। সেখানে গিয়েই কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান, কোচিং ক্লাসের জন্য একটা ঘর ফাঁকা পাওয়া যাবে কিনা! তারই অনুরোধে, সকাল ৬টা থেকে ৮টা (যেহেতু সকাল ৯টার আগে কলেজের ক্লাস শুরু হয় না) দু ঘণ্টার জন্য তাই ক্লাস-ঘরের ব্যবস্থা হয়েছে, এই দুস্থ পড়ুয়াদের ইংরেজি শিক্ষার জন্য৷

জিয়াগঞ্জের অর্থিক ভাবে অস্বচ্ছল পরিবারের ছোটোরা এই সুযোগ-সুবিধে উপভোগ করতে পারবে। গায়কের এমন সাধু উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। মুর্শিদাবাদের ভূমিপুত্রকে নিয়ে গর্বিত সকলেই। উল্লেখ্য, এর আগে অতিমারির সময়ও জিয়াগঞ্জের মানুষদের  জন্য নানা সেবামূলক কাজের উদ্যোগ নিয়েছিলেন অরিজিৎ সিং।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...