বদলে যাওয়া ঋতুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলায় ফ্যাশনের বহতা স্রোত । আপনি যদি সেই স্রোতের অনুসারী হয়ে থাকেন— তাহলে আপনাকেও সময়ে সময়ে ওয়ার্ডরোব-টিতে মৃতসঞ্জীবনী সঞ্চার করতে হবে। বদলে ফেলতে হবে পোশাকের কাট-ছাঁট। জীবন্ত রঙে ফিরিয়ে আনতে হবে ফ্যাশনের জোয়ার।
বাজার ছেয়ে গিয়েছে ট্রেন্ডি ক্রপ টপ এবং হাই ওয়েস্ট জিনস-এ।কিন্তু এই ফোশাক মধ্য বয়সিদের ঠিক মানায় না৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ডৌলেও পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। এথনিক পোশাক এক্ষেত্রে আপনার সহায় হবে৷ তাই কেনাকাটি করতে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি টিপস রইল আপনাদের জন্য।
একটু লম্বা ঝুলের কুর্তি এখন ফ্যাশনে ইন। কিনে ফেলুন রাউন্ড শেপড কুর্তি। ওই পোশাকের সঙ্গে পরুন লেগিংস বা সিগারেট প্যান্ট। পরতে পারেন পালাজোও। কানে থাকুক একটু বেশি ঝুলের কানের দুল। কে বলতে পারে এই লুকেই হয়তো কতজনের মন চুরি করে ফেলবেন আপনি।
শাড়ি থাকবে না তা হতেই পারে না। কিন্তু একঘেয়ে তাঁত কিংবা সিল্ক ছেড়ে এবার মন দিন অন্য দিকে। কারণ বর্তমানে ফ্যাশনে ইন হ্যান্ডলুম আর নানা প্রদেশের সিল্ক। থ্রি কোয়ার্টার কিংবা স্লিভলেস ব্লাউজের সঙ্গে শাড়ি পরে আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজেকে চিনতে পারবেন না আপনি।
শাড়ি পরার সময়ে বিশেষ কয়েকটি টিপস সঙ্গে রাখা প্রয়োজন। নাহলে সাজটাই মাটি হবে। পেটিকোটের রং এবং ফিটিংসের দিকে খেয়াল রাখুন। ব্লাউজের ফিটিংসের দিকে অবশ্য়ই লক্ষ্য রাখুন। শাড়িতে মাত্রারিক্ত সেফটিপিন লাগাবেন না। এতে সাজটাই নষ্ট হয়। এসব টিপস সঙ্গে রাখুন, আপনাকে শাড়িতে এতটাই সুন্দর দেখাবে যে কেউ আপানর থেকে চোখে ফেরাতে পারবে না।
অনেকেই পশ্চিমী পোশাক পরতে পছন্দ করেন। আপনারও কি সেরকমই প্ল্যান রয়েছে? সেক্ষেত্রে কয়েকটি দিকে খেয়াল রাখুন। পোশাকের সঙ্গে মানানসই অন্তর্বাস পরুন। ভুল অন্তর্বাস পরলে আপনার সাজটাই মাটি হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে সঠিক অ্যাকসেসরিজ দিয়ে লুকটিকে পার্ফেক্ট করে তুলতে হবে। তবেই না পাবেন ফ্যাশনিস্তার তকমা!
প্রয়োজনে নিজের ডিজাইন সেন্স থেকেই অদলবদল করে নিতে হবে পুরোনো হয়ে যাওয়া পোশাকগুলির মলিন চেহারা। এক কথায় শ্রী ফিরিয়ে আনতে হবে ওয়ার্ডরোব এবং নিজের।
পুরোনো শাড়ি দিয়েও করতে পারেন ফ্যাশন মেকওভার। পুরনো শাড়ি যা বহু বার পরেছেন অথচ সেটি খুব প্রিয় বলে বাতিল করতেও পারছেন না—তা দিয়ে কিন্তু নতুন স্টাইলের ড্রেস বানিয়ে নিতে পারেন। দরকার একটু সৃজনশীলতা আর একটু বুদ্ধি খরচ, তাহলেই বাজেটের মধ্যেই ফ্যাশন মেকওভার করতে পারেন।
ওয়ান-পিস গাউন সবাই পরতে ভালোবাসে আর এখন এটা ফ্যাশন ট্রেন্ডেও ইন। একরঙা গাউন হোক কিংবা প্রিন্টেড অথবা প্যাচওয়ার্ক করা, যেরকমই হোক না কেন আপনি কিন্তু আপনার পুরোনো শাড়ি দিয়ে দিব্যি একটা ওয়ান-পিস গাউন তৈরি করে নিতে পারেন এবং সেটাও কম খরচে।
ফিউশন স্কার্ট খুব ভালো লাগে দেখতে। পুরনো শাড়ি কেটে যদি স্কার্ট বানাতে চান তাহলে চেষ্টা করুন প্রিন্টেড শাড়ি দিয়ে তৈরি করানোর। প্রিন্টেড স্কার্ট আজকাল খুব চলছে।আপনার পছন্দ মতো যে-কোনও টপের সঙ্গে আপনার এই স্কার্ট কিন্তু দারুন লাগবে দেখতে। আর এতে বেশি খরচও নেই।
এক রঙের কোনও শাড়ি আর তাতে পাড় বসানো থাকলে তা থেকে আনারকলি বানিয়ে নিন। আনারকলি বানানোর অনেক কাপড় লাগে যেহেতু আনারকলিতে অনেক কুঁচি হয় আর ফল বেশি হয়, আর সেই কাপড়টা আপনি আপনার পুরনো শাড়ি থেকে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। ব্যস এবার আপনি আসন্ন উৎসবে অংশ গ্রহণ করতে একদম রেডি৷