সব অভিভাবকেরাই চান তাদের যথাসাধ্য সামর্থ্য দিয়ে সন্তানকে শিক্ষিত করে তুলতে এবং এই লক্ষ্যে পৌঁছোতে তারা সারা জীবন পরিশ্রম করেন। কিন্তু সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও অর্থের অভাবের কারণে ব্যক্তিকে পরিস্থিতির সঙ্গে অনেক সময়েই লড়াই চালিয়ে যেতে হয়। ইচ্ছা থাকলেও নামি স্কুল, কলেজে পড়াবার সামর্থ্য তাদের থাকে না। যার ফলে তাদের সন্তানরা কেরিয়ার ওরিয়েন্টেড পড়াশোনা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকে যায়।

অভিভাবকদের বুঝতে হবে যেমন গাছ রোপণ করলেই ফল দিতে শুরু করে না, তাকে সার এবং যত্ন দিয়ে বড়ো করলে তবেই ফল পাওয়ার আশা করা যায়— ঠিক তেমনি একটি বাচ্চাকে সঠিক ভাবে শিক্ষিত করে তুলতে ঠিক সময় Education Planning শুরু করে দিতে হয়।

মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট

বর্তমানে বাচ্চাকে নার্সারিতে ভর্তি করানোটাও আর্থিক ক্ষমতার উপর নির্ভর করছে। অনেক জায়গায় ভর্তি করাতে মা-বাবাকে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে যদি মা-বাবা বাচ্চাকে ভর্তি করাবার সময় বা এক-দুই মাস আগে থেকে টাকা জোগাড়ের চেষ্টা করেন, তাহলে কারও কাছে টাকা ধার করা বা নিজেদের সঞ্চয় ভেঙে ফেলা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। এর ফলে দম্পতির ভবিষ্যতের প্ল্যানিং বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু যদি ভাবনাচিন্তা করে কাজ করা হয় তাহলে বাচ্চার ভালো স্কুলে অ্যাডমিশনও হবে এবং অর্থের জন্য সমস্যাতেও পড়তে হবে না।

স্নেহা এবং রোহিত দু’জনেই আইটি কোম্পানিতে কর্মরত। স্যালারিও বেশ ভালো। তাদের কন্যাসন্তান জন্মাবার সঙ্গে সঙ্গেই ওরা মিউচুয়াল ফান্ডে মাসে ১০ হাজার টাকা করে রাখতে শুরু করে। ৩ বছরে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা প্রায় জমা হয়ে যায় এবং মেয়ের স্কুলে অ্যাডমিশনের সময় বেশ বড়ো একটা অঙ্কের বিনিময়ে মেয়েকে ভালো স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয় তারা।

এর জন্যে বড়ো কোনও সমস্যাতেও পড়তে হয়নি। বরং মেয়েকে পছন্দমতো স্কুলেও ভর্তি করতে পেরেছে তারা। আর এটা সম্ভব হয়েছে স্নেহা এবং রোহিতের স্মার্ট প্ল্যানিং-এর জন্যই।

এই ভাবে প্ল্যানিং করে বাচ্চাদের এডুকেশনের ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা ভার, সহজে বহন করতে পারবেন এবং নিজেকেও সমস্যামুক্ত রাখতে পারবেন। আপনারা টার্ম ইনভেস্টমেন্টের জন্য ডেট মিউচুয়াল ফান্ড-এও ইনভেস্ট করতে পারেন। এতে রিস্ক, ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ডের তুলনায় কম।

নিউ চিল্ড্রেন মানি ব্যাক প্ল্যান

এখন অভিভাবকেরা আলাদা আলাদা পলিসিতে বিনিয়োগ করেন ঠিকই কিন্তু সন্তানের শিক্ষার বিষয়টি যদি মাথায় না রেখে বিনিয়োগ করা হয় তাহলে সেটা ভবিষ্যতে খুব একটা লাভ দেয় না। বাচ্চাকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে তার ভবিষ্যৎ যদি তৈরি করে দেওয়ার প্ল্যান করে থাকেন, তাহলে এলআইসি-র নিউ চিল্ড্রেন মানি ব্যাক প্ল্যান বেছে নিতে পারেন। এতে ভবিষ্যতে সন্তানের সঠিক শিক্ষার বিষয়টি বোঝা হয়ে দাঁড়াবে না এবং আপনার সন্তানও এতে উপকৃত হবে।

এটি ২৫ বছরের একটি পলিসি। বাচ্চার জন্য এই পলিসি কেনার সময়সীমা বাচ্চার বয়স জিরো থেকে ১২ বছর পর্যন্ত। পলিসির ম্যাচিওরিটি অর্থ ভাগে ভাগে পাওয়া যায় অর্থাৎ বাচ্চা ১৮ বছরের হলে ২০ শতাংশ, ২০ বছর হলে ২০ শতাংশ, আবার ২২ বছর হলে ২০ শতাংশ অর্থ দেওয়া হয়। বাকি ৪০ শতাংশ অর্থ পলিসি শেষ হলে বোনাস যোগ করে পলিসি হোল্ডারকে দেওয়া হয়। এই পলিসির বার্ষিক প্রিমিয়ামও বেশি হয় না। অথচ বাচ্চার শিক্ষার জন্য ব্যয় করতে বড়ো অঙ্কের অর্থ আপনার হাতে এসে যায়।

 

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...