কেউ কেউ দুধ বা দই একেবারেই খাওয়া পছন্দ করেন না। কিন্তু শরীরকে নানা রোগ অসুখ থেকে সুরক্ষা দিতে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া খুবই দরকার। দুধ বা দই না খেলেও, চেষ্টা করুন পনির দিয়ে শরীরের এই চাহিদা পূরণ করতে৷ রোজ ডায়েটে রাখতে পারেন পনির মাখনি, মটর পনির, শাহি পনির অথবা পালক পনিরের মতো কোনও একটি পদ৷
পনিরে রয়েছে কম করে ১৮.৩ গ্রাম প্রোটিন, ২০.৮ উপকারি ফ্যাট, ২.৬ গ্রাম মিনারেল, ১.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২৬৫ কেসিএল এনার্জি, ২০৮ এমজিএস ক্যালসিয়াম, ১৩৮ এমজি ফসফরাস এবং আরও বহু উপাদান৷ প্রসঙ্গত, এই সবকটি উপাদানই নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। বিশেষত একাধিক রোগকে দূরে রাখতে পনিরের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
নিয়মিত পনির খেলে যা যা উপকার পাবেন
- এনার্জির ঘাটতি দূর হবে
- আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের কষ্ট কমবে
- হজম ক্ষমতার উন্নতি হবে
- হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে
- ফলেটের ঘাটতি মিটবে
- হাড় শক্তপোক্ত হবে
- মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে
- প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে
- ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে থাকবে
- ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে
- ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকবে
- দাঁত শক্তপোক্ত হয়ে উঠবে
আপনার স্বাদবদলের জন্য আমরা দিচ্ছি একটি পনিরের রেসিপি,এটি যেমন সুস্বাদু, তেমনি হেলদি৷ ট্রাই করে দেখতে পারেন৷
টেস্টি পনির
উপকরণ – ৫০০ গ্রাম পনির, ১/৪ কাপ দই, ১/২ কাপ টম্যাটো পিউরি, ৩/৪ ছোটো চামচ নুন, ১/৪ ছোটো চামচ লংকাগুঁড়ো, ১/৪ ছোটো চামচ রসুনবাটা, ১/২ ছোটো চামচ অলিভ অয়েল।
প্রণালী – দই, টম্যাটো পিউরি, নুন, লংকাগুঁড়ো, রসুন আর তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন৷ পনিরগুলি চৌকো টুকরোয় কেটে নিন। টুকরোগুলির উপর দই ছড়িয়ে হালকা হাতে মাখিয়ে নিন। ৩-৪ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। গ্রিল গরম করে নিন। জালের উপর মাখন মাখান। পনিরের টুকরোগুলো এর উপর রেখে অল্প অলিভ অয়েল ছড়িয়ে দিন। সস, চাটনি ডিপ, স্যালাড সহযোগে পরিবেশন করুন৷