আসবাব এক অমূল্য বস্তু। তাই না জেনেবুঝে ফার্নিচারে একগাদা টাকা খরচ করা ঠিক নয়। শুধু সৌন্দর্য নয়, ফার্নিচার কতটা টেকসই হবে, তা যাচাই করে তবেই আসবাব কেনা বা তৈরি করানো দরকার।
যে-আসবাব কম জায়গা নেবে, মাল্টি ইউটিলিটি বা বহু ব্যবহারে কাজে লাগবে, এমন আসবাবই ঘরে আনুন। দু’ধরনের ফার্নিচার আমরা ব্যবহার করি। এক ধরনের ফার্নিচার তৈরি করা হয়, সৌন্দর্য এবং আরামের কথা ভেবে। আবার কিছু আসবাব অনেকে শুধুমাত্র প্রযোজনের কারণে কেনেন বা তৈরি করান। আরামের কথাটা মাথায় রাখেন না। যেমন ধরা যাক, চেয়ারের কথা। অনেক চেয়ার দেখা যায়, যা পিঠের দিকে খুব বেশি উঁচু নয়। ওই সব চেয়ারে সৌন্দর্য অটুট থাকলেও, পিঠ এবং মাথা সম্পূর্ণ আরাম পায় না।
ফার্নিচার যদি তৈরি করানোর কথা ভাবেন, তাহলে কাঠের ব্যাপারে সম্যক জ্ঞান থাকা জরুরি। কোন আসবাবে কোন গাছের কাঠ ব্যবহার করা উচিত, তা জানতে হবে। কাঠের গুণমান সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। সেগুন সবচেয়ে উপযুক্ত কাঠ আসবাবের জন্য। কিন্তু অতিরিক্ত দামের কারণে, তা সব সময় অ্যাফোর্ড করা যায় না।
আসবাব তৈরি করার আগে কয়েকটি জরুরি বিষয় জেনে নিন
- সেগুনের পরিবর্তে গামার বা ভোলাকাঠ দিযে আসবাব তৈরি করান
- আসবাব তৈরির আগে জেনে নিন ব্যবহৃত কাঠটি সিজন করা কিনা। অর্থাৎ গাছ কাটার পর অন্তত ছ’মাস তা রোদে শুকিয়ে নেওয়া আবশ্যক। সেই প্রক্রিয়া পালন করা হয়েছে কিনা
- কাঁচা কাঠে আসবাব বানালে প্রত্যেকটি জয়েন্ট আলাদা হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই
- আম কাঠের ফার্নিচার ভুলেও কিনবেন না, এগুলি যতই সুন্দর করে তৈরি করা হোক, টেকসই হবে না। এই কাঠ বর্ষাকালে ফুলে ওঠে।