এবার নতুনত্বের ছোঁয়া আপনার ইন্টিরিয়র ডিজাইন-এও নিয়ে আসুন। বদলে ফেলুন পর্দা থেকে কুশন কভার। কীভাবে ঘরে কয়েকটা বদল আনলে  ঝলমলিয়ে উঠবে আপনার ঘর, এখানে তারই টিপ্স দেওয়া হল।

পর্দা

  • পর্দা যতটা সম্ভব সিলিংয়ের থেকে স্বল্প দূরত্বে রাখুন
  • ইচ্ছে করলে ব্লাইন্ড এবং পর্দা দুই-ই লাগাতে পারেন
  • জানলা বড়ো হলেও ক্ষতি নেই। বেশি কুঁচিওয়ালা পর্দা ঝোলান
  • পর্দা বাছার সময় এমন রং-ই বাছুন যা আপনার ঘরের রঙের সঙ্গে মানানসই হবে
  • আসবাবের সঙ্গেও যেন পর্দার একটা সামঞ্জস্য থাকে। বস্তুত একটা ঘরে চারটি জিনিসের ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। মেঝে, সিলিং, দেয়াল ও আসবাব। এর মধ্যে যে-কোনও একটাকে বেছে নিন হাইলাইট করার জন্য। বাকিগুলো শুধু সাপোর্টিং রোল প্লে করবে
  • ঘরে কাঠ-কে গুরুত্ব দেবেন না ব্লাইন্ডস-কে, সেই সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে– কতটা প্রাইভেসি চান, সেটার ওপর ভিত্তি করে
  • পর্দার দৈর্ঘ্য নির্ভর করছে আপনার পছন্দের ওপর। কেউ ফ্লোর লেংথ পছন্দ করে, কেউ মেঝে থেকে অনেক উপরে
  • বেডরুম-এর জন্য ব্ল্যাক আউট ব্লাইন্ডস্-ই ভালো
  • পর্দার রড আন্তত ১ ইঞ্চি মোটা হওয়া উচিত
  • পর্দার কুঁচি অন্ততপক্ষে জানলার মাপের দ্বিগুন হওয়া বাঞ্ছনীয়

Kitchen Rugs for Decor

  • কিচেন রাগ্স
  • আপনার কিচেন-এর লুক বদলানোর জন্য কিচেন রাগ্স-এর জুড়ি নেই।
  • এই রাগ্স ব্যবহার করলে পায়ের নীচে ঠান্ডা অনুভূতিটাও থাকবে না এবং কিচেনের সৌন্দর্যও বাড়বে।
  • কিচেনের দেয়ালে ডেকোরেশন করার কোনও অপশন না থাকলে, এই রাগ্স ব্যবহার করলে কিচেনের
  • লুক-এ একটা চেঞ্জ আসবে
  • কিচেন ওয়াল হালকা রঙের হলে কালারফুল রাগ বাছুন
  • আপনার অ্যান্টিক রাগ্স পছন্দ হলে হ্যান্ডলুম-এর উলেন রাগ্স ব্যবহার করুন। এই ভিনটেজ প্যাটার্ন আপনার কিচেন-কে একটা ডিজাইনার ক্যারেক্টার দেবে।
  • রেক্ট্যাঙ্গুলার (আয়তাকার) শেপ-এর কিচেন রাগ্স-এর বদলে গোল বা ডিম্বাকৃতি রাগ্সও ব্যবহার করতে পারেন

Mirror for Decor

আয়না

  • আয়না শুধু মুখ দেখার জন্যই ব্যবহার হয় না, ঘরের ডেকর বদলানোর জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ। ঘরকে স্পেসাস দেখাতেও সাহায্য করে আয়না। আয়না ব্যবহার করে ঘরের ডেকর-এ আলাদা মাত্রা যোগ করতে পারেন।
  • গোল্ডেন বিট লাগানো আয়না একটা এথনিক টাচ নিয়ে আসে আপনার ইন্টিরিয়র লুক্স-এ। এটা ক্যাবিনেটের উপরের দেয়ালে লাগান। ক্যাবিনেটের উপর কিছু ডেকোরেটিভ পিস বা অ্যান্টিক্স রাখুন। লুকটাই বদলে যাবে ঘরের।
  • বেডরুম-এ রাখার জন্য অবশ্য একটা চৌকো আয়নাই ভালো। আপনি চাইলে লিভিং ও ডাইনিং এরিয়ার মাঝখানে সেপারেটর হিসাবে একটা বড়ো আয়না লাগাতে পারেন। এতে ঘরটা বড়ো দেখাবে।
  • অনেকে দরজার পেছনে আয়না লাগাচ্ছেন আজকাল। এই কনসেপ্টটা অবশ্য বেডরুমের জন্যই উপযুক্ত।
  • বড়ো লিভিং রুম হলে ফ্লোর টু সিলিং মিরর লাগাতে পারেন। এটা বেশ একটা স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করবে।
  • বাথরুমে একটু অ্যান্টিক লুক আয়না লাগাতে পারেন, বাথরুম ক্যাবিনেট বা বাথরুম ফিটিংস-এর উপরের দেয়ালে। এতে বাথরুম-এ বেশ একটা আভিজাত্য আসবে।

 

 

 

কুশন

  • আপনার লিভিং রুমটা কি খুব একঘেয়ে দেখতে লাগছে? চট করে এর লুক বদল করতে পারবেন কুশন কভার বদলে। পেইন্ট করানো বা আসবাব বদলানোর মতো খরচ সাপেক্ষ পথে না গিয়েও এর লুক্স-এ পরিবর্তন আনতে পারেন কালারফুল কুশন।
  • সোফার রঙের সঙ্গে হুবহু একই রঙের কুশন কভার কেনার ভুল করবেন না। এতে ঘরটা খুব বিসদৃশ দেখাব
  • সাধারণত লিভিং রুম-এ অনেক রং ও প্যাটার্ন থাকেই। দেয়ালের রং, পর্দার ডিজাইন, দেয়ালে টাঙানো ছবির রং –সেগুলোর মধ্যে থেকে রং বেছে নিয়ে কুশনের রঙের সঙ্গে কালার ব্যালান্সিং করুন। খেয়াল রাখুন রংটা যেন অন্যান্য জিনিসের রংকে কমপ্লিমেন্ট করে, বিরোধিতা না করে
  • ঘরে ট্র্যাডিশনাল লুক রাখতে চাইলে, কুশনের সংখ্যা যেন জোড় সংখ্যায় থাকে। যদি গৃহসজ্জা খুব হাল ফ্যাশনের হয়, তাহলে কুশনের সংখ্যা বিজোড় সংখ্যায় রাখুন।
  • কুশন কভারের ডিজাইন একইরকম না রেখে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে রাখুন। কোনওটায় থাক সলিড কালার, কোনওটা হোক প্যাটার্নধর্মী।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...