স্কিন কেয়ার থেকে শুরু করে লুক্স মেনটেন করা– সবই ব্যয়সাপেক্ষ বিউটি ট্রিটমেন্ট-এর অঙ্গ। আর তার জন্যই নিয়মিত বিউটি পার্লার-এ যেতে হয় আমাদের। রেগুলার সৌন্দর্য চর্চা বা স্পা ট্রিটমেন্টের মাসিক খরচের অঙ্কটা কিন্তু খুব কম নয়। তাই এককালীন ইনভেস্টমেন্ট করুন, আর কিনে ফেলুন আধুনিকতম কিছু গ্যাজেট। এর দরুণ উৎসবের দিনগুলিতেই শুধু নয়– সারা বছর আপনার সৌন্দর্য অম্লান থাকবে।
ক্লিনজিং ব্রাশ
সুকোমল ত্বকের জন্য দৈনিক
ক্লিনজিং, টোনিং আর ময়েশ্চারাইজিং-এর বিউটি রেজিম খুব জরুরি। ক্লিনজিং-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকদিন যারা বেরোন তাদের জন্য বিশেষ করে, ত্বকের গভীর থেকে পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন হয়। না হলে ব্রণ, ফুসকুড়ি, ত্বকের ছোটোখাটো সংক্রমণে জেরবার হতে হয়। তাই একটি ক্লিনজিং ব্রাশ আপনার রেজিমের অপরিহার্য উপকরণ। এটা ত্বককে বাইরে থেকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে ও ভেতর থেকে পরিচ্ছন্ন। ত্বকের মাসাজের ফলে এটি ত্বককে নমনীয় করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
ক্লিনজিং ব্রাশের কিট-এর সঙ্গে ক্লিনজিং ক্রিমও পাওয়া যায়। প্রথমে মুখে ভালো করে ক্লিনজিং ক্রিম লাগিয়ে নিন। এবার এই ক্লিনজিং ব্রাশের সাহায্যে ৫ মিনিট মাসাজ করুন। তারপর হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন।
স্মার্ট টিপ্স
ওলে প্রো এক্স মাইক্রোডার্মাব্রেশন অ্যাডভান্স ক্লিনজিং ব্রাশ প্রোঅ্যাক্টিভ স্কিন ক্লিনজিং ব্রাশ বা স্পা সনিক কেয়ার সিস্টেম প্রভৃতি গ্যাজেটস্-এর মধ্যে থেকে, যে-কোনও একটি ব্রাশ কিনতে পারেন।
রিংকল ইরেজার
মুখের বলিরেখা সরানোর জন্য পার্লারে গিয়ে টাকা খরচ করার বদলে একটা রিংকল ইরেজার পেন কিনে আনুন। এর দ্বারা মুখের ত্বকের উপর দাগ রেখে যাওয়া ফাইন লাইন্স দূর করা সম্ভব। সেই সঙ্গে চোখের চারপাশের ক্রোজ ফিট, ঠোঁটের দুপাশের ভাঁজ প্রভৃতি কমিয়ে দেওয়া যায়। সুফল পাওয়ার জন্য, সপ্তাহে ৪ বার এটা ব্যবহার করা উচিত। স্কিন ফ্রেশ আর তারুণ্যে ভরপুর হয়ে উঠবে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
রিংকল ইরেজার পেন ব্যবহার করার আগে, চোখের নীচের সংবেদনশীল অংশে ক্রিম লাগিয়ে নিন। এরপর রিংকল ইরেজার পেন অল্প চাপ দিয়ে চোখের চারপাশে ও গালের ত্বকে বুলিয়ে তুলে নিন। এই পদ্ধতিতে ৪-৫ মিনিট বলিরেখার পরিচর্যা করুন। একই ভাবে ঠোঁটের চারপাশে পড়া ভাঁজও নির্মূল করা সম্ভব।