খুসকি, ডগাফাটা চুল আর চুলের রুক্ষতা এখন সকলেরই যেন নিত্যসঙ্গী! বাতাসের আর্দ্রতা এই সময় বেশি থাকায় চুল নেতিয়েও থাকে। কাজেই এই দিনগুলোয় চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া খুব দরকার! আমরা জানিয়ে দিচ্ছি কিছু জরুরি টিপস।
চুল বেঁধে রাখুন
খোলা চুল মানেই প্রচণ্ড অস্বস্তি। তাই চুলটা বেঁধে রাখাই ভালো! বাহারি স্কার্ফ বা টুপিতে ঢেকে রাখুন চুল।এর দুচি সুবিধা ৷ করোনাকালে সুরক্ষিত থাকবেন, আবার চুল দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্তও হবে কম৷
চুলেরও চাই এসপিএফ
শুধু মুখে সানস্ক্রিন মাখলেই হবে না, একই যত্ন দরকার আপনার চুলেরও! বাড়ির বাইরে পা দেওয়ার আগে চুলে আর স্ক্যাল্পে সানস্ক্রিন লাগিয়ে মাসাজ করে নিন।
চুল পরিচ্ছন্ন রাখুন
বাইরে বেরোলেই চুল নোংরা হয়৷ আমরা অনেক সময় বিষয়টাকে অবহেলা করি৷ ফলে ধুলো-ময়লা জমতে থাকে মাথার ত্বকে৷এটা না করে দুদিন ছাড়াই চুল শ্যাম্পু করে নিন৷চুলের সম্পূর্ণ দেখভাল করতে নারিশিং শ্যাম্পু মাখুন। নারকেল, শিয়া বাটার, আর্গান অয়েল-বেসড শ্যাম্পু চুলের পক্ষে ভালো! একই সঙ্গে শ্যাম্পু ঠিকমতো লাগানোও সমান জরুরি! চুলে সরাসরি শ্যাম্পু লাগাবেন না। স্ক্যাল্পে ঘষে ফেনা করুন, তারপর সেই ফেনা চুলে লাগিয়ে ধুয়ে নিন। তাতে অতিরিক্ত শ্যাম্পুতে চুল রুক্ষ হবে না।
চুলের আর্দ্রতা রক্ষা জরুরি
দূষণ চুল এতটা চটচটে করে দেয় যে, মনে হয় রোজ শ্যাম্পু করি! কিন্তু তাতে চুল রুক্ষ হওয়া অবশ্যম্ভাবী! সপ্তাহে তিনবারের বেশি কোনওমতেই শ্যাম্পু করবেন না আর প্রতিবার কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন!
চুলের কন্ডিশনিং জরুরি
চুল ডিপ কন্ডিশনিং করতে কন্ডিশনারের বদলে হেয়ার মাস্ক লাগান। ঘরোয়া হেয়ার প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। ডিম, দই আর মধু দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক শুকনো বিবর্ণ চুলের জন্য খুব উপকারী!
মাসাজের বিকল্প নেই
আর্দ্রতা চুলের গভীরে ধরে রাখতে কন্ডিশনিংয়ের পাশাপাশি থেরাপিউটিক হেয়ার অয়েল মাসাজ করতে পারেন। নারকেল, অলিভ আর আমন্ড অয়েল চুলের স্বাস্থ্য আর বাড়বৃদ্ধির পক্ষে খুব ভালো! সাত দিন বা চোদ্দো দিন অন্তর চুলে অয়েল মাসাজ নিন।