যে-কোনও ঋতুবদলেই ত্বকের সময় লাগে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে৷ তাই বছরভর প্রয়োজন হয় যত্নের৷ মুখের ক্লিনজিং, ময়েশ্চারাইজিং আর টোনিংয়ের পাশাপাশি, বিশেষ আমল দিতে হয় স্ক্রাবিংয়ের প্রতি ৷
যাদের মুখে খুব বেশি ব্রণের সমস্যা ভুলেও শক্ত দানাযুক্ত স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারবেন না। এতে জীবাণু আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ব্রণের সমস্যায় জর্জরিত ত্বকের জন্য, বাজারে স্পেশাল স্ক্রাব পাওয়া পাওয়া যায়। একইভাবে তৈলাক্ত ত্বকের মতো স্পর্শকাতর ত্বকে খসখসে বা মোটা দানার স্ক্রাব ব্যবহার করা ঠিক হবে না। এক্ষেত্রে ফ্রুট বা প্ল্যান্ট এনজাইম আছে এমন স্ক্রাব বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিউটিশিয়ানরা। যারা সেনসেটিভ বা সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী তারা বাড়িতে স্ক্রাব ব্যবহার না করাই ভালো। একান্তই ফেস ক্লিনআপের জন্য বিউটি ক্লিনিকে চলে যান। এক্সপার্ট বা কসমোলজিস্টরা আপনার ত্বকের ধরন বুঝে ট্রিটমেন্ট দেবেন। এ ছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে Scrubbing করলে, আপনাকেও বাড়তি Side effects -এর ঝামেলা পোহাতে হবে না৷
কয়েকটি উপকারী Home made Scrubs
- তিন টেবিল চামচ ওটের গুঁড়া, সামান্য টক দই ও প্রয়োজন মতো অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ধীরে ধীরে মুখ ও ঘারে ম্যাসাজ করুন। ৪-৫ মিনিট পর পানির ঝাপটায় ধুয়ে ফেলুন।
- কাজুবাদামের গুঁড়ার সঙ্গে চিনি ও টমেটোর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- অরেঞ্জ পিল পাউডার আর ওটস একত্রে মধু দিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর সামান্য পানি দিয়ে মুখে মেখে ভালো করে স্ক্রাব করে নিন। দুদিন পরই দেখবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে গেছে।
- পেঁপের কাঁথের সঙ্গে টক দই এবং ওটমিলের গুঁড়া মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার সার্কুলেশন মোশনে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানি ধুয়ে ফেলুন।
- পাকা কলার সঙ্গে গুঁড়া করা চিনি মিশিয়ে নিন। এরপর এতে অল্প মধু মিশিয়ে মুখের ত্বকে ব্যবহার করুন। এক দিন বিরতি নিয়ে প্যাকটি ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।