সুন্দরী গায়ত্রী দেবী ছিলেন কোচবিহারের রাজকুমারী। এরপর তার বিয়ে হয় জয়পুরের মহামহিম মহারাজ সাওয়াই মান সিংয়ের সঙ্গে। তবে তিনি ছিলেন এই মহারাজার তৃতীয় স্ত্রী। তাই তাকে জয়পুরের তৃতীয় মহারানী বলা হতো। মহারানী হলেও তিনি রাজনীতি জীবনে ছিলেন বেশ আধুনিক ও সফল একজন নেত্রী। তিনি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিপরীত নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন।

রানী গায়েত্রী ছিলেন চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারীর স্বতন্ত্র পার্টির সদস্য। পড়াশোনায় গায়ত্রী দেবী ছিলেন মেধাবী। এ ছাড়া জয়পুরে অনেকগুলো স্কুল প্রতিষ্ঠা করে পেয়েছেন খ্যাতি ও মানুষের ভালোবাসা। মহারানি গায়ত্রী দেবী তাঁর চিন্তন, ব্যক্তিত্ব, সৌন্দর্য, পোশাক, সাজে আভিজাত্যের ছাপ নিয়ে আজও চর্চিত দেশে-বিদেশে। মহারানি হয়েও, রক্ষণশীল তো নয়ই, বরং ভীষণ আধুনিক মননশীল মানুষ ছিলেন তিনি।

১৯৬২ সালের লোকসভা গায়ত্রীদেবী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন রেকর্ড ব্যবধানে। এমনকি গিনেস বুক অফ রেকর্ডে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে ভোট পেয়ে জয়ী হিসেবে নাম আসে তার। ১৯৬৭ এবং ১৯৭১-এর লোকসভা নির্বাচনেও তিনি কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১-এ জরুরি অবস্থার সময়ে আয়কর আইন অবমাননার দায়ে তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। এরপর কেড়ে নেওয়া হয় সমস্ত রাজকীয় সুযোগ সুবিধা।তিহার জেলে তাকে পাঁচ মাস বন্দিজীবন কাটাতে হয়। এরপরই ধীরে ধীরে রাজনীতির ময়দান থেকে সরে যান গায়ত্রী দেবী।

সম্প্রতি টুইট করে গায়ত্রী দেবীর  বায়োপিক তৈরির খবর জানায় আইএন১০ প্রযোজনা সংস্থা। জানা যাচ্ছে, আইএন১০ এবং ম্যাঙ্গো পিপল মিডিয়া একসঙ্গে এই সিরিজের প্রযোজনার দায়িত্বে থাকবে। মেঘনা গুলজারের ‘রাজি’ ছবির চিত্রনাট্যকার ভবানী আইয়ার এই সিরিজের চিত্রনাট্য লেখার দায়িত্ব পেয়েছেন।মহারানির মৃত্যুর দুই দশক পর এই সিরিজ ঘোষণায় অনেকেই খুশি।ঐশ্বর্য রাই, কঙ্গনা রানাওয়াত, করিনা কপুর নাকি অদিতি রাও হায়দারি, মহারানীর চরিত্রে কাকে দেখা যাবে এখন সেই নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে৷

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...