মাত্র কয়েকদিন আগেই, সলমন খান তাঁর জন্মদিনের প্রাক্কালে, অনুরাগীদের উপহার দিয়েছিলেন তাঁর আগামী ছবি ‘অন্তিম’-এর ফার্স্টলুক। মাথায় পাগড়ি, চোখে সানগ্লাস,হাতে কড়া -- এক শিখ পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা গেছে ‘দাবাং’ –এর angry young man সলমান খান-কে। ‘অন্তিম’-এর বিষয়বস্তু কৃষকদের জীবন সংঘর্ষের কাহিনি। ২০১৮ সালের এক মারাঠি ছবি‘মুলশি প্যাটার্ন’-এর হিন্দি রিমেক ‘অন্তিম’। বর্তমানে যখন দেশ জুড়ে চলছে কৃষকদের বিক্ষোভ, তখন নিশ্চিত ভাবে এ ছবির একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করেন পরিচালক মহেশ মঞ্জরেকর। এই ছবিতে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করছেন সলমানের ভগ্নীপতি, আয়ুষ শর্মা। আর বিশেষ একটি চরিত্রে রয়েছেন আমাদের টলিউডের অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত৷
শুধু টলিউডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় নয়, বলিউড এবং তেলুগু ছবিতেও প্রায়ই দেখা যায় যিশুকে৷ফলে অনবরত তাঁকে উড়ে যেতে হয় মুম্বই নয়তো দক্ষিণে৷একাধারে তিনি যেমন হিন্দি ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন, তেমনই মূলধারার বলিউড সিনেমাতেও তাঁর অভিনয় নজর কাড়ছে দর্শকদের। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ছবিও রয়েছে তাঁর হাতে।পরিচালক শিবপ্রসাদ-নন্দিতার উইন্ডোজ প্রোডাকশনস -এর ছবি, ‘বাবা বেবি' -ওর ঘোষণা করা হয়েছে সম্প্রতি।আর এবার বলিউডের 'অন্তিম' ছবিতে একটি নেগেটিভ চরিত্রে বাছা হয়েছে তাঁকে৷
‘বরফি’, ‘মরদানি’, ‘পিকু’ ছাড়াও হালফিল সময়ে, অণু মেনন –এর শকুন্তলা দেবী বা মহেশ ভট্টের সড়ক ২ – এ দেখা গেছে তাঁকে৷ মুম্বইয়ে এত সুযোগ কীভাবে পান তিনি-- একথা এক সাক্ষাতকারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে, যিশু জানিয়েছিলেন, বাঙালি নির্দেশকরা চেনেন বলেই এটা হয়। তাঁর প্রথম হিন্দিতে কাজ অবশ্য শ্যাম বেনেগলের সঙ্গে (নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু: দ্য ফরগটেন হিরো)। কিন্তু শ্যামজির সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছিল এক বাঙালির সূত্রেই— সমীর চন্দ। আর বাকি যাদের সঙ্গে কাজ করেছেন, যেমন অনুরাগ বসু, তাঁকে পারিবারিক ভাবে অনেক আগে থেকে চিনতেন। প্রদীপ সরকারের সঙ্গেও সেভাবেই যোগাযোগ। আর সুজিত সরকার তাঁকে ‘জাতিস্মর’এ দেখেই কাস্ট করেন।