ডিম অতি সহজলভ্য একটি খাদ্য-উপাদান। অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের তুলনায় ডিম পাওয়া যায় অনেক সস্তায়। অনেকেই জানেন যে, ডিমের অনেক পুষ্টিগুণ আছে। তবে মাথায় রাখবেন, যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন, কিংবা যাদের হাই ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল ইত্যাদি আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডিম খাবেন না। বাকিরা সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ডিম খান এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলুন।ছোটো বাচ্চাদেরও নিয়মিত ডিম খাওয়ানো উচিত,তবে চারভাগের এক ভাগ খাওয়ানোই ভালো। এক বছর থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের চারভাগের এক ভাগ এবং তিন থেকে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের অর্ধেক ডিম খাওয়াতে পারেন। আর ছয় বছরের বেশি বয়সের প্রত্যেকে একটা গোটা ডিম খেতে পারেন। ৭৭ ক্যালরি ছাড়াও,ডিমে থাকে ৬.৩ গ্রাম উচ্চমানের প্রোটিন। এছাড়া আয়রন, ভিটামিন-এ, ডি, ই  এবং  বি-১২-এ সমৃদ্ধ এই ডিম।

কী কী কারণে ডিম খাবেন

  • গবেষকরা জানিয়েেন, যারা নিয়মিত ডিম খান, তাদের চোখে ছানি পড়ে না সহজে
  • চুলের বৃদ্ধি স্বাভাবিক রাখতে এবং চুল পড়া রুখতে পারে ডিম। কারণ, ডিমের কুসুমে থাকা Choline নামক পদার্থ এই উপকার করে
  • ডিমে থাকা সেলেনিয়াম ভিটামিন ই-র সঙ্গে যুক্ত হয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে
  • ডিমের কুসুমে থাকা কোলিন মস্তিষ্কের বিকাশ ও কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
  • যে-মহিলারা নিয়মিত ডিম খান, তাদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় প্রায় ৪৪ শতাংশ। ডিমে থাকা ভিটামিন-ডি, প্রতিরোধ করে স্তন ক্যানসার
  • সামান্য ব্রাউন সুগার সহযোগে ডিম খেলে, মেয়েের পিরিয়ড-এর সমস্যা থাকে না
  • ডিম যেহেতু শরীর গরম রাখে, তাই রক্তপ্রবাহও স্বাভাবিক থাকে
  • ধুলোময়লার কারণে আমাদের ত্বকে যে-বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়, ব্রাউন সুগার দিয়ে ডিম খেলে, ত্বকের সেই বিষাক্ত পদার্থ ক্ষতি করতে পারে না।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...