ছাতু এমন একটা খাবার যা এই গরমে শরীরকে ঠান্ডাও রাখবে আবার পুষ্টিরও যোগান দেবে। ওজন বাড়ার ভয় নেই, সহজ লভ্য এবং খাদ্যগুণে ভরপুর ছাতু। সুতরাং বাড়ির সকলে মিলে খান ছাতুর সরবত, যা বাচ্চাদেরও ভালো লাগবে। আর কোল্ড ড্রিঙ্কস-এর দরুন হওয়া ক্ষতি থেকে তাদের সুরক্ষা দেবে। যারা এখন অফিস করছেন, তাদের জন্য ছাতু একটি খুবই প্রয়োজনীয় খাদ্য। রোজের ডায়েট-এ রাখুন ছাতু।
ছাতুর সরবত
উপকরণ : ছাতু, ঠান্ডা জল, নুন বা বিট নুন, গোলমরিচ, লেবুর রস, পুদিনা পাতা, ভাজা জিরের গুঁড়ো।
প্রণালী : এক গেলাস ঠান্ডা জলে ৫০ গ্রাম ছাতু মিশিয়ে নিন। এতে নুন, গোলমরিচ, জিরেগুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে পুদিনা পাতা উপরে সাজিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
ছাতুর উপকারিতা
- এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ
- একবার খেলে পেট অনেক্ষণ ভরা থাকে ফলে বারবার খাবার দরকার পড়ে না
- শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে
- হজম করা সহজ
- গ্যাস, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- শরীর ঠান্ডা রাখে। এতে থাকা মিনারেলস প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে
- শরীরে পুষ্টির অভাব দূর করে
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে
- হাই কোলেস্টেরল থেকে সুরক্ষা দেয়
- ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের শরীরে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে
- এটি সম্পূর্ণ গ্লুটেন-মুক
ছোলার ডাল দিয়েই সাধারণত তৈরি করা হয় ছাতু। ছোলার ডালকে সেঁকে পাউডারে পরিণত করা হয়। অনেকে এর সঙ্গে কাবুলি মটরেরও পাউডারও মেশান স্বাদ বাড়াবার জন্য। খালি পেটে ছাতু খাওয়ার বেশ অনেক উপকারিতা আছে যেমন পেটের সমস্যা দূর করতে বা শরীর থেকে টক্সিন বার করে ফেলতে ছাতুর কোনও জুড়ি নেই। গরম থেকে রেহাই পেতেও ছাতু অত্যন্ত উপকারি। এছাড়াও শরীরের মেদ ঝরাতেও ছাতুর অবদান কিছু কম নয়। এছাড়াও শরিরের মেটাবলিজম বাড়ায় ও শরীরে ক্যালোরি বার্ন করার শক্তি বাড়ায় ছাতু। খালি পেটে ছাতু খেলে শরীরে লাল রক্তকণিকা বৃদ্ধি পায় ফলে এনার্জিও থাকে সারা দিনভর। হজমের সমস্যায় মোকাবিলা করতেও সাহায্য করে ছাতু। এর মধ্যে নুন, ফাইবার ও আয়রন থাকে যা কিনা পেটের যে-কোনও সমস্যা থেকে শরীরকে সুস্থ রাখে। তাহলে দেরি কীসের, আজ থেকেই খালি পেটে এক গেলাস করে ছাতুর সরবত খাওয়া শুরু করে দিন।