এখন ঘরে ঘরে বহু মহিলাই চাকরি করেন বা ব্যাবসা। সংসার সামলানোই Working Mother-দের একমাত্র কাজ নয় এখন। বরং তারা দশভূজার মতোই ঘর-বাইরে দুটোই নিরন্তর সামলে ফেলেন। কিন্তু এত কিছু করতে গিয়ে অনেকসময়ই নিজের খাওয়াদাওয়ার দিকে মন দেওয়া যায় না।
সকালের পেট ভরা খাবার খেলে শরীরের পুষ্টি হয়। সারাদিন কাজের এনার্জি পাওয়া যায়। ছোটোদের মস্তিষ্ক ভালো থাকে। স্মৃতিশক্তি বাড়ে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।করোনা মহামারী আমাদের শিখিয়েছে যে, শরীরের দিকে নজর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিকর খাবারও খাওয়া দরকার। এর ফলে শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়বে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
তাই না-খাওয়ার বদভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসুন। বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে অবশ্যই তৈরি করে নিন এমন টিফিন, যা বানাতে সময় লাগে খুব কম, কিন্তু পুষ্টিতে ঠাসা। Working Mother-দের জন্য রইল এরকমই কিছু Tiffin Recipes,যা বহু কর্মরতা মহিলাকেই সাহায্য করবে বলে আমরা নিশ্চিত।
রাইস সেমাই
উপকরণ : ২ কাপ রাইস সেমাই, ১টা পেঁয়াজ লম্বা করে কাটা, ১/৪ কাপ লাল, সবুজ ও হলুদ ক্যাপসিকাম, ১টা টম্যাটো কুচি করা, ১ ছোটো চামচ আদা (কাটা), ১/২ চামচ কাঁচালংকা কুচি করা, ১ বড়ো চামচ ধনেপাতাকুচি, ১ বড়ো চামচ সাদা তেল, ১/২ ছোটো চামচ সরষে ফোড়ন দেওয়ার জন্য, ১/২ ছোটো চামচ জিরে, ৭-৮টা কারিপাতা, নুন স্বাদমতো।
প্রণালী : একটা পাত্রে ৬ কাপ জল ফুটতে দিন। এতে সেমাই দিয়ে ঢেকে রাখুন এবং আঁচ বন্ধ করে দিন। ১০ মিনিট পর দেখবেন সেমাই নরম হয়ে গেছে। ছাঁকনি দিয়ে জল ঝরিয়ে সেমাইগুলো একটা প্লেটে চারিয়ে দিন। এর আগে এক বোতল ঠান্ডা জলে সেমাইগুলো ধুয়ে নিলে ভালো হয়।
এবার কড়ায় তেল গরম করে, সরষে, কারিপাতা আর কাঁচালংকা ফোড়ন দিন। পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজুন। এবার ক্যাপসিকাম, টম্যাটো, আদাকুচি, দিয়ে ঢিমে আঁচে ৫ মিনিট নাড়চাড়া করুন। সেমাইগুলো দিয়ে আবার ভালো ভাবে নাড়ুন। নুন দিয়ে আরও ২ মিনিট কড়ায় নাড়াচাড়া করে, নামিয়ে দিন। আপনার লাঞ্চ প্যাক তৈরি।