করোনা থেকে সেরে ওঠার পর শরীরে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। কারো কম, কারো-বা বেশি। একেকজনের একেকরকম উপসর্গ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা এবং নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর চিকিৎসকরা বিশ্রাম নেওয়া ও ফুসফুসের দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
যেহেতু একবার আক্রান্ত হয়েছেন তাই সতর্ক থাকতেই হবে। সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারগুলো পুরোপুরি মেনটেইন করতে হবে।পাশাপাশি আদা চা পান করা বা বেশি তরল খাওয়া এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের যে ব্যায়াম আছে, সেগুলো অব্যাহত রাখতে হবে। আর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন বা শাক-সবজি বেশি খেতে হবে।
একবার হলে আবার হতে পারে কি-না বা শরীরে অ্যান্টিবডি কত শতাংশ মানুষের তৈরি হয়, এসব অনেক প্রশ্নের উত্তরই আসলে আমাদের জানা নেই। সেজন্যই সামাজিক সুরক্ষার যাবতীয় বিষয়গুলো মেনে চলতেই হবে।
এর মধ্যে ব্যায়াম করা কি উচিত? কী ধরনের ব্যায়াম করলে শরীরের উপকার হবে? এ ধরনের নানা প্রশ্ন ঘুরতে থাকে অনেকের মনে।চিকিৎসকদের মতে করোনাপরবর্তী ব্যায়াম অনেকটাই উপকারী।
যেটা প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, সেটা হলো আপনার শরীর। যেহেতু একেক জনকে একেক রকম ভাবে আক্রমণ করছে, তাই নিজের শরীর নিজেকেই বুঝে নিতে হবে। ধরুন আপনার আগের তুলনায় এখন শারীরিক সমস্যা কম। অনেকটাই সুস্থবোধ করছেন। কিন্তু আরো কিছুদিন দেখুন অল্পতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন কি-না। সে ক্ষেত্রে খুব হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। কিন্তু যদি ব্যায়াম করতে গিয়ে মনে হয়, শরীর অবশ লাগছে, তাহলে কিছুদিন বিশ্রাম নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন। যদি ডাক্তার বলেন আপনি ব্যায়াম করতে পারেবন, তবে জেনে নিন কী ধরনের ব্যায়াম করা যাবে।
বাড়ির মধ্যেই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে দেখে নিন কতটা হাঁপিয়ে যাচ্ছেন। যদি মনে হয় পারবেন, তাহলে স্পট ওয়াকিং বা এক জায়াগায় হাঁটতে পারেন। তবে সেটা ১০-১২ মিনিটের বেশি নয়।
স্ট্রেচিং
হালকা স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করতে পারেন। হাত, পা, হাঁটু, শরীরের ওপরের অংশ, শরীরের নিচের অংশ স্ট্রেচ হয়- এমন ধরনের সহজ ব্যায়াম করুন। হাত সামনের দিকে বা ওপর দিকে তোলা-নামানোর ব্যায়মগুলো করতে পারেন। এতে বেশি ক্লান্তি আসবে না।ক্র্যাম্প ধরার সমস্যাও কমবে।